বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এমনিতে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দাপট অব্যাহত। তাই উপনির্বাচনেও একাই ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল। আর এই ফল ঘোষণার পর রাজ্য জুড়ে একাধিক জায়গা থেকে উঠে এসেছিল বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরবর্তী সময়ে নন্দীগ্রামে (Nandigram) গত ৮ ডিসেম্বর খুন হয়েছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। ওইদিন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল সমর্থক গুরুপদ মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল।
TMC কর্মী খুনের মামলায় অবাক কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি
অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধেই। ওই হামলার জেরে গুরুপদ মন্ডলের আত্মীয় বিষ্ণুপদ মন্ডলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল অভিজিৎ মাইতি সহ মোট ২৬ জন বিজেপি সমর্থকের বিরুদ্ধে। এবার নন্দীগ্রামের এই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই অ্যাকশন শুরু! কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে যা করছে CBI…
তাদের দাবি তারা আর রাজ্য পুলিশের উপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না। তাই নন্দীগ্রামের এই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এবার তারা সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Tirthankar Ghosh) প্রশ্ন, একজন অভিযুক্ত কিভাবে তদন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন চাইতে পারে?
অন্যদিকে অভিযুক্ত অভিজিৎ মাইতির প্রশ্ন একই ঘটনায় দুটি এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে কেন? বিষয়টিকে আইন বিরুদ্ধ বলেও দাবি করেছেন অভিজিৎ মাইতির আইনজীবীরা। সেইসাথে তাদের দাবি এই মামলায় প্রথমে অভিযোগ করা হয়েছিল চারজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলের তরফ থেকে শুরু হয় রাজনীতিকরণ। যার ফলে এই তালিকায় যুক্ত হয় প্রায় ২৬ জনের নাম। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী সোমবার।