বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের মুখ্য সচিবের ভূমিকা। সেই ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে উত্তাল রাজ্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), শাসকদলের নেতা থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক। আদালতে চলছে মামলা। বহুদিন আগেই রাজ্যের কাছে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কতদিন সময় লাগবে তা জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের (State Chief Secretary) কাছে একাধিকবার রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে এখনও সেই বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
মুখ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
কেন এতদিনেও অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেননি মুখ্যসচিব? এবার সেই নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, যারা জামিনের আবেদনকারী তারা প্রায় সকলেই সিনিয়র সিটিজেন। পাল্টা কটাক্ষের সুরে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, দুর্ভাগ্যক্রমে তারা সিনিয়র সিটিজেন আর যারা প্রতারিত তারা সকলেই যুবা।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তি প্রসাদ সিনহার সহ সকল অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের জামিনের আর্জি জানান। পাশাপাশি সকলেই সিবিআই- এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের কথায়, তদন্তকারী সংস্থা ২০২২ সালে চার্জ গঠনের অনুমতি চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্য সচিবের কাছে যায়। তারপর এতদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন?
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত করতে হবে ডিউটি! সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি, চিন্তায় সকলে
১৯ সেপ্টেম্বর জামিন মামলার শুনানি
পাল্টা এদিন রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘রাজ্য সরকার যদি ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি না দেয় এখানে ডিভিশন বেঞ্চ বা সিবিআই-র কিছু করার নেই। এই মামলায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চার্জ গঠনের অনুমতি দেবে না তা বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি কেন এতবার নির্দেশ দেওয়ার পরও মুখ্যসচিব নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারক। এদিনের শুনানিতে সিবিআইকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।