‘শেষ সুযোগ দিলাম’! পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি! বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলিশের ভূমিকায় ফের ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক মামলায় রাজারহাট থানা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। কড়া ভাষায় বলেন, ‘সাদা পোশাক পরলেই কলকাতা পুলিশ হওয়া যায় না’।

  • ফের হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ভর্ৎসিত পুলিশ!

রাজারহাটে একজন মামলাকারীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশের (Police) তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, ঘটনার দিন মামলাকারীর বাড়িতে ১২ জন হামলা চালিয়েছিল। এই অভিযোগে ভুল নেই। এই অভিযোগ সঠিক। তবে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত এগোনোর জন্য নিম্ন আদালতের অনুমতি চায় পুলিশ।

এই নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সাফ বলেন, ‘এটাই বেআইনি। পুলিশ যেখানে আদালত গ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির কোনও দরকার নেই। পুলিশ যদি এই আইনটুকু না জানে, তাহলে কীভাবে নাগরিক বিচার পাবে?’

আরও পড়ুনঃ না জানিয়েই হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়! ED এবার যা করল … রাতের ঘুম উড়ল বালুর?

এখানেই না থেমে জাস্টিস ঘোষ জিজ্ঞেস করেন, এই পুলিশ অফিসারদের (Police Officer) থানায় থাকার যোগ্যতা, ফৌজদারি মামলার তদন্ত কীভাবে করতে হয় সেটা জানা আছে বলে আপনার মনে হয়? যা অভিযোগ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? সংশ্লিষ্ট অফিসারদের আইনের জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

Calcutta High Court

জাস্টিস ঘোষ বলেন, ‘কাদের নিয়ে কাজ করছেন সেটা কমিশনারের জানা দরকার। সাদা পোশাক পরলেই কলকাতা পুলিশ হওয়া যায় না’। হাইকোর্টের বিচারপতি স্পষ্ট জানান, ‘পুলিশকে এই শেষ সুযোগ দিলাম। এরপর যদি এই রকম ত্রুটি আর দেখা যায়, তাহলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে বাধ্য হব’।

রিপোর্ট নিয়েও এদিন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি ঘোষ জিজ্ঞেস করেন, এই রিপোর্ট দেখে আপনি সন্তুষ্ট? আগামী ৫ ডিসেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে উচ্চ আদালত। তার আগে আজ ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জাস্টিস ঘোষ। শেষ সুযোগ দিচ্ছেন, জানিয়ে দিলেন তিনি।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর