বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তারপর থেকে জেলেই বন্দি ছিলেন তিনি। বহু কাঠখড়ও পুড়িয়েছেন তিনি। অবশেষে ২০২৪ এ এসে মিলেছে জামিন। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জামিন পেয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্ত হলেও জেলমুক্তি হল মানিকের। উল্টে কপালে জুটল কড়া ধমক।
জামিন মিললেও বন্ড সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা থাকায় এখনও জেল থেকে বেরতে পারেননি মানিক। তাই ফের তিনি হাইকোর্টে ছোটেন। শুক্রবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে সেই মামলা শুনানির জন্য ওঠে। মানিকের তরফে বলা হয় ১০ লক্ষ টাকার রেজিষ্ট্রার বন্ড পেতে সমস্যা হবে। এরপর বিচারপতি পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকার রেজিষ্ট্রার বন্ড করানোর নির্দেশ দেন। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির ছিলেন মানিক।
আদালতে মানিকের অর্জি, ‘গোটাটাই যদি ব্যক্তিগত বন্ড করানো যায়…।’ যদিও টিএমসি বিধায়কের অর্জিতে সায় দেয়নি উচ্চ আদালত। মানিকের অর্জির শুনানি হচ্ছিল দুপুরে। ঘড়ির কাঁটায় তখন আড়াইটে বেজে গিয়েছে। তাই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সই সবুদ সব করতে অনেকটা সময় গড়িয়ে যাবে। তাই এদিনও মানিক জেল থেকে বেরোতে পারবেন না। ওদিকে জেল থেকে বেরোতে মরিয়া মানিক।
আদালতে মানিক ফের বলেন, ‘যদি সইটা একটু তাড়াতাড়ি করা যায়…।’ এতেই বিরক্ত হয়ে যান বিচারপতি ঘোষ। কার্যত চিৎকার করে বলেন, ‘আদালতকে কাজ বোঝাবেন না। আদালতকে কাজ করতে দিন।’ বিচারপতির ধমক খেয়ে চমকে ওঠেন মানিক। তারপর রীতিমতো মুখে কুলুপ দেন। আর কোনো কথা শোনা যায়নি মানিকের মুখে। শুক্রবার বন্ড সংক্রান্ত সমস্যায় জেল থেকে বেরোতে পারেননি মানিক।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইডির দায়ের করা মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে মানিকের। তবে চাপানো হয়েছে একাধিক শর্ত। তৃণমূল নেতাকে তার পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। নিম্ন আদালত বা তিনি যে ট্রায়াল কোর্টের আওতায় থাকেন সেই এলাকা তিনি ছাড়তে পারবেন না মানিকবাবু।
আরও পড়ুন: কড়া ডেডলাইন প্রধান বিচারপতির! জনস্বার্থ মামলায় এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
পাশাপাশি মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাকে। কোনোভাবেই এই মামলার সাক্ষীদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারবেন না। তদন্তকারী আধিকারিকদের তদন্তে সাহায্য করতে হবে। কোনো শর্ত ভাঙলে উপযুক্ত পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।