‘একটা শৌচাগার..,’ ভরা এজলাসে প্রবল ভর্ৎসনা, এবার রাজ্যকে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু সময় একাধিকবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। আর এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার পূর্ত দফতরের কাজ নিয়ে ভরা এজলাসে বসেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

হাওড়ার জগাছা এলাকায় পনেরো বছর ধরে জল জমে। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। এরপর আদালতের নির্দেশে গত ২৩ ডিসেম্বর ওই এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্টের বলা হয় জল জমার কোনো সমস্যা নেই। যা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করে আদালত।

   

এই মামলার শুনানিতেই প্রধান বিচারপতির বলেন, “যে দফতর একটা শৌচালয় করতে পারে না সে জমি অধিগ্রহণ,দমকলের অনুমতি সব নিয়ে কাজ করবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। দায়িত্বহীন মন্তব্য। একটা ছোট কাজ করলেও আদালতের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।”

আরও পড়ুন: ‘মগজাস্ত্র’ খাঁটিয়েই ঘুরিয়ে দেন সব মামলা! জানেন আসলে কে এই রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল?

ভরা এজলাসে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘হাইকোর্টের একটা শৌচাগার যারা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে না, তারা মর্ডানাইজ সোসাইটি করবে? আর এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?’ প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। প্রথম যেদিন এই হাইকোর্টে এসেছিলাম তখন থেকে দেখছি এই কাজ পড়ে আছে। PWD আদৌ এই কাজ করতে পারবে বলে আমি মনে করি না।”

calcutta high court

আরও পড়ুন: হায় হায়! একটান ৬ দিন হবে না ব্যাঙ্কের কোন কাজ! আগেভাগেই দেখুন লিস্ট, নাহলেই হাত কামড়াবেন

কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি শিলিগুড়ির প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেন, “শিলিগুড়িতেও একই অবস্থা। কোনও কিছু নির্দেশ দিলেই অযুহাত আসতে থাকে, মেগা প্রজেক্ট তাই প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন।” এরপরই জেলাশাসককে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, মোট ৬০০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কোন দফতর এই কাজ করতে পারবে তা জেলা শাসককে জানাতে হবে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর