বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরখানেক আগের ঘটনা। ২০২৩ সালের ১ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায় খুন হয়েছিলেন একজন বিজেপি কর্মী। বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া নামের সেই পদ্ম শিবিরের কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় আগেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের (Trinamool Congress) আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করল আদালত।
আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে কী বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, তৃণমূলি গুণ্ডারা আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ওরা বোমা মারতে মারতে নিয়ে যায়। আমি পায়ে পড়ে কাঁদলেও ছাড়েনি। এরপর ওকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
অভিযোগ, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বোমা মেরে খুন করা হয়েছিল বিজেপি (BJP) কর্মী বিজয়কৃষ্ণকে। পরেরদিন সকালে স্থানীয় একটি পুকুরের ধার থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে না পারায় তাঁরা জামিন পেয়ে যান। চলতি বছর এপ্রিল মাসে পুলিশি তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ রাজনীতি ছাড়া অতীত! এবার দিলীপকে বিরাট দায়িত্ব দিচ্ছে বিজেপি? চাপে শুভেন্দু-সুকান্ত?
এদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তদন্তভার তুলে দিতেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আগাম জামিনের আর্জি জানান অভিযুক্ত ৫ জন তৃণমূল কর্মী। সোমবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। তখনই অভিযুক্ত ৫ জনের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারির সম্ভাবনা প্রবল হয়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন অভিযুক্তদের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে হাইকোর্ট বলে, তদন্ত প্রক্রিয়া এখন যে পর্যায়ে রয়েছে সেখানে আগাম জামিন দেওয়া হলে তদন্তের কাজে প্রভাব পড়তে পারে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী ৩ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন। মামলা এবার কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।