বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্লাইন্ড স্কুলের অন্দরে বিপুল টাকার দুর্নীতি! শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্থার অভিযোগে প্রথমে তদন্ত শুরু হয়। এরপরেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! পাহাড়সম দুর্নীতির হদিশ পায় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তদন্তের অগ্রগতির দিকে নজর রেখে সংশ্লিষ্ট ব্লাইন্ড স্কুলের প্রিন্সিপালের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ব্লাইন্ড স্কুলে দুর্নীতি! প্রিন্সিপালের জামিনের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে ওই হোমে (Blind Home) দু’জন নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ৮০% দৃষ্টিহীন। একজন এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এখানেই শেষ নয়! ওই দু’জনের মধ্যে একজনের জন্মতারিখ পাল্টে নতুন করে আধার কার্ড তৈরি করে সংশ্লিষ্ট হোম। শিশু সুরক্ষা কমিশন, জুভেনাইল বোর্ডের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের কাছে এই অভিযোগ আসে বলে খবর।
এই নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই বিপুল টাকার দুর্নীতির (Blind Home Scam) খোঁজ পান গোয়েন্দারা। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ব্লাইন্ড স্কুলের দৃষ্টিহীন আবাসিকদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে শেল কোম্পানি চালাতেন প্রিন্সিপাল। স্কুলে যে মেয়েরা আসতো তাঁদের জন্মতারিখ পাল্টে নতুন করে আধার কার্ড বানানো হতো বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, পকসো ধারার হাত থেকে বাঁচার জন্য এমনটা করা হতো।
আরও পড়ুনঃ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন…! বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের! ‘হাকিমের হুকুমে’ তোলপাড়
রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই হোমের ৭০ জন আবাসিকের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার সঙ্গে শেল কোম্পানির যোগ আছে। হোমের স্টাফরাই প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট চালনা করতেন বলে অভিযোগ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, নানান বিদেশি সংস্থা থেকে ওই ব্লাইন্ড হোমের কাছে কোটি কোটি টাকা অনুদান আসত। সেই টাকা শেল কোম্পানির নামে ভুয়ো বিল বানিয়ে পেমেন্ট করা হতো। সেই টাকা ঘুরে ফিরে হোমের আবাসিকদের অ্যাকাউন্টেই আসতো। এমনকি খোদ প্রিন্সিপালের নামেও ১২টি অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানেও মোটা টাকা লেনদেন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্তের অগ্রগতির দিকে নজর রেখে সংশ্লিষ্ট হোমের প্রিন্সিপালের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরবর্তীতে তদন্তে কী উঠে আসে সেটাই এবার দেখার।