বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলি (Sharmistha Panoli)। সেই সঙ্গেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানাও করেছিলেন বলে অভিযোগ। অসম্মানজনক ও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও মুছে ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামেনি। এই আবহে মঙ্গলবার শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে তরুণীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরই এক আইনজীবী।
শর্মিষ্ঠার জামিনের আবেদন খারিজ করে কী বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
২২ বছর বয়সি শর্মিষ্ঠা সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। নানান ইস্যুতে ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। তবে অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে তিনি যে ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সেখানে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করার অভিযোগ ওঠে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে গার্ডেনরিচ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত শুক্রবার হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।
এদিন শর্মিষ্ঠার আইনজীবী হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় (Justice Partha Sarathi Chatterjee) তাতে বলেন, ‘আমাদের দেশে নানান জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একত্রে বাস করেন। এখানে যে কোনও মন্তব্য করার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়। আপনার মন্তব্যে দেশের একটি অংশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে’।
আরও পড়ুনঃ বালি মাফিয়া যোগ-তোলাবাজির অভিযোগ! কেষ্টর পর এবার বিপাকে বোলপুরের IC?
শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর হয়ে লড়ছেন মহম্মদ শামিমউদ্দিন। সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদসংস্থার কাছে বলেন, শর্মিষ্ঠা সম্পূর্ণ নির্দোষ। ১৩ জুনের আগেই যাতে তিনি জামিন পেয়ে যান সেই চেষ্টা করা হবে।
শামিমউদ্দিন জানিয়েছিলেন, ‘শর্মিষ্ঠাকে জামিনে মুক্ত করতে আমরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছি’। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে ওই তরুণীর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানানো হয়। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, গার্ডেনরিচ থানায় সে মূল মামলাটি দায়ের হয়েছে, সেটাই তদন্তের জন্য বিবেচনা করা হবে। এই বিষয়ে অন্য যে সকল মামলা দায়ের হয়েছে, সেগুলি স্থগিত থাকবে। আগামী ৫ জুন রাজ্যকে শর্মিষ্ঠার মামলার কেস ডায়েরি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গেই শর্মিষ্ঠাকে সকল প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করতে হবে, জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।