বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের আগের দিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েও খালি হাতেই ফিরতে হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। স্বস্তি পেলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)! এই অভিযোগ নিয়েই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে হল না সুরাহা।
প্রসঙ্গত, গতকাল কাঁথি থানার তরফে একটি নোটিশ দিয়ে শুভেন্দুকে বলা হয়, নির্বাচনের দিনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। উল্লেখ্য, পূর্বেই কমিশন ২২ জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক ও জেলাশাসকদের একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিজের বুথের এলাকার বাইরে অন্য কোনও জায়গায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে অবাধে বিচরণ করতে পারবেন না।
যদি সেই ব্যক্তি ভোটের প্রার্থীর হয় তাহলে তার জন্য ছাড় দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর কমিশনের এই নির্দেশের পরই কাঁথি থানার তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস দেওয়া হয়। এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ ঠুকে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। অর্থাৎ, নিজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যেই গতিবিধি সীমাবদ্ধ রাখতে হবে শুভেন্দুকে। আদালতে নির্বাচন কমিশন জানায়, এই নোটিস সব রাজনৈতিক নেতাকে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সিনহা জিজ্ঞেস করেন, কাঁথি থানার পুলিশ কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস দিয়েছেন? নোটিস তো নন্দীগ্রাম থানার দেওয়ার কথা। তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের ভোটার হলেও তিনি বেশিরভাগ সময় কাঁথিতেই থাকেন। তাই হয়ত কাঁথি থানার পুলিশ পাঠিয়েছে।
শুনানি চলাকালীন শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা, তাকে দলের সমস্ত কর্মীদের নির্দেশ দিতে হয়। আইনজীবীর এই কথা শুনে বিচারপতি সিনহা বলেন, নির্দেশ তো ফোনে দিতে পারেন। এটা শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার জন্যও ভাল।
এরপরেই বিচারপতির মন্তব্য, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই, তাই আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন কমিশন যদি নিরাপত্তার জন্য তাদের আচরণবিধি কড়া করে তাহলে সেখানে আদালতের কিছু করার নেই।