ধর্ষণে অভিযুক্তের নিজেকে নির্দোষ দাবি! প্রমাণ করতে পিতৃত্ব পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। যদিও সেই ব্যক্তির দাবি তিনি নির্যাতিতার সন্তানের বাবা নন। এবার সেই মামলাতেই অভিযুক্তকে নিজের দাবি প্রমাণ করার সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অভিযুক্তের পিতৃত্ব পরীক্ষার (প্যাটারনিটি টেস্ট) অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল।

  • ধর্ষণের মামলায় বড় নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)!

জানা যাচ্ছে, ১৭-১৮ বছর বয়সে নির্যাতিতা অভিযুক্ত যুবকের প্রেমে পড়েছিল। নির্যাতিতার বাবা এমনই অভিযোগ এনেছেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ওই যুবক। এর ফলশ্রুতি হিসেবে গর্ভবতী হয়ে পড়েন নির্যাতিতা।

এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ এবং ৪২০ ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়। শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। এদিকে অভিযুক্ত নির্যাতিতার সন্তানের বাবা হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে। তিনি সম্পর্কে ‘নন অ্যাকসেস’এর দাবি করেন বলে খবর। এবার এই মামলাতেই পিতৃত্ব পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল (Justice Shampa Dutt Paul)।

আরও পড়ুনঃ রেশন গ্রাহকদের পোয়া বারো! ডিসেম্বরে মিলবে প্রচুর সামগ্রী! আগেভাগেই দেখুন তালিকা

সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেন, এই মামলায় দুই পক্ষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। নির্যাতিতার দাবি ওই সন্তান অভিযুক্তের। অন্যদিকে সে ওই সন্তানের বাবা হওয়ার দাবি অস্বীকার করেছে এবং সম্পর্কে ‘নন অ্যাকসেস’এর দাবি করেছে। তাই যখন এই সম্পর্কে ‘নন অ্যাকসেস’এর দাবি করা হয়েছে, এটা প্রমাণ করার সুযোগ পাওয়া অভিযুক্তের অধিকার। এরপরেই পিতৃত্ব পরীক্ষার (Paternity Test) অনুমতি দেয় আদালত।

Calcutta High Court

এদিকে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতা একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল বলে দাবি করেছিল অভিযুক্ত। পরবর্তীতে নির্যাতিতা নিজেও সেকথা স্বীকার করে। অভিযুক্তের তরফ থেকে নির্যাতিতা এবং তাঁর সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদনও করা হয় বলে খবর। তবে আদালতের সময় নষ্ট হবে বলে বিচারপতি তা খারিজ করে দেন। তবে দুই পক্ষ দুই ভিন্ন ধরণের দাবি করায় অভিযুক্ত যুবককে পিতৃত্ব পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ৬০ দিনের মধ্যে এই পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর