বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এর আগেও তার থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর আবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
কোন মামলায় ডিজির রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের (Calcutta High Court)?
রাজ্যে পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর ঘটনায় পুলিশের (West Bengal Police) তদন্তের গাইডলাইন জানতে চেয়ে ডিজির কাছ থেকে এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এর আগে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য পুলিশের ডিজি গতকাল রিপোর্ট জমা করেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই রিপোর্ট দেওয়া হয়। সেখানে সাইবার ক্রাইম থানাগুলির দায়িত্বে যে অফিসাররা রয়েছেন, তাঁদের কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ক বিশদ তথ্য দেওয়া হয় বলে খবর।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়। এরপর জাস্টিস বাগচি বলেন, সমাজমাধ্যমে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও যদি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে তদন্তে কী কী উঠে এসেছে এবং তার ভিত্তিতে তদন্তকারী কোন পথে এগিয়েছেন, সেই তথ্যও আদালত দেখতে চায়। পাশাপাশি সম্পূর্ণ রাজ্যে পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত এমন কতগুলি মামলা রয়েছে সেটাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে…! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল ‘ক্ষুব্ধ’ কলকাতা হাইকোর্ট
এই বিষয়ে এক সপ্তাহ পর ডিজিকে আবার রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বাগচির (Justice Joymalya Bagchi) ডিভিশন বেঞ্চ। জানা যাচ্ছে,নদীয়ার মুরুটিয়া থানার এক মামলার প্রসঙ্গ তুলে কৃষ্ণনগর সাইবার থানার তদন্তের ত্রুটির ভিত্তিতে এদিন ফের ডিজির রিপোর্ট তলব করা হয়।
উল্লেখ্য, নদিয়ায় একজন মহিলাকে ধর্ষণ করার পর তাঁর নগ্ন ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মামলাকারী অভিযোগ করেন, এই মামলার ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগর সাইবার থানার তরফ থেকে অন্যান্য বহু ধারা যোগ করা হয়েছিল। তবে সাইবার অপরাধের কোনও ধারা যোগ করা হয়নি। যে কারণে গ্রেফতার হওয়ার পরেই জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত।
ওই মামলায় তদন্ত দেখে হতাশা প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জাস্টিস বাগচির পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘গাল ভরা নাম নিয়ে যে নতুন সাইবার থানা হয়েছে, সেটার অবস্থা আর পাঁচটা সাধারণ থানার মতোই। তাহলে নতুন নাম নিয়ে থানা তৈরি করার লাভ কী?’