বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি! বিরাট নির্দেশ দিল ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, কয়লা দুর্নীতি সহ একাধিক মামলা তদন্ত চলছে রাজ্যে। এই আবহে এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bardhaman University) আর্থিক প্রতারণা মামলা উঠল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (ED) এবং সিআইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।

আর কি নির্দেশ হাইকোর্টের? Calcutta High Court

আগেই এই মামলায় রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা শুনানির জন্য উঠলে ইডিকে নতুন করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সিআইডি ও ইডিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

কী অভিযোগ? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রারের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যোগসাজশে সেখানে কমপক্ষে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। জড়িত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার এবং ফিনান্স অফিসার। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার। শুরু হয় তদন্ত।

রিপোর্ট পেশ করে সিআইডি জানায়, প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে যে ন’জন অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে সাত জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় CID। এই মামলায় ইডির কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই মত তদন্তে নেমে রিপোর্ট জমা করে ইডি।

calcutta high court 3

আরও পড়ুন: সিঙ্গেল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও বিরাট ধাক্কা রাজ্যের! এবার বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

এদিন বিচারপতি বলেন, গত বছর জুলাই মাসে ইডি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। তারপর আর কোনো নতুন রিপোর্ট জমা পড়েনি। কেন রিপোর্ট জমা পড়েনি সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। এরপরই পরবর্তী শুনানিতে ইডিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর