বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের (Justice TS Sivagnanam) ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গেই শিবপুর চাঁদপাল ফেরি সার্ভিস কীভাবে দ্রুত চালু করা যায় সেই বিষয়েও বিশেষ উদ্যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কোন মামলায় রাজ্যকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ বানের জন্য শিবপুর নাজিরগঞ্জ ফেরি সার্ভিস (Ferry Service) বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর নাজিরগঞ্জ ফেরি সার্ভিস শুরু হলেও, বিগত প্রায় এক বছর ধরে শিবপুর চাঁদপাল ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই নিয়ে একাধিকবার রাজ্যকে জানানো হয় বলে অভিযোগ। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি!
পরবর্তীতে এই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কেন প্রায় এক বছর ধরে শিবপুর চাঁদপাল ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে রয়েছে? সেই কারণ জানতে চেয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।
আরও পড়ুনঃ TMC কাউন্সিলর অনন্যার ‘বেআইনি’ বাড়ির খোঁজ দিলেন সজল! বিস্ফোরক অভিযোগ BJP নেতার
একইসঙ্গে কীভাবে ওই রুটে দ্রুত ফেরি সার্ভিস চালু করা যায়, সেই বিষয়েও রাজ্যকে (Government of West Bengal) উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে জানা যাচ্ছে, হাওড়া-ধর্মতলা রুটে মেট্রো শুরু হওয়ার পর থেকে হাওড়া-মিলেনিয়াম পার্ক, হাওড়া-চাঁদপাল ঘাটে যাত্রীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আগের তুলনায় প্রায় ৭% যাত্রী কমেছে বলে খবর। যদিও পরিবহণ দফতরের কর্তারা এর চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী কমবে বলে আশঙ্কা করেছিল।
তবে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির কর্তাদের আশঙ্কা, হাওড়া-শিয়ালদহ ও সল্টলেক রুটে মেট্রো শুরু হয়ে গেলে যাত্রী সংখ্যা আরও হ্রাস পাবে। সেই জন্যই নতুন ও বন্ধ পড়ে থাকা রুটে ফের ফেরি সার্ভিস শুরু করে উপার্জন বাড়াতে চাইছেন তাঁরা। এই আবহে এবার শিবপুর-চাঁদপাল রুটের বন্ধ পড়ে থাকা ফেরি সার্ভিস নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের তরফ থেকে রিপোর্ট পেশের পর কী হয় এখন সেটাই দেখার।