১৬ ডিসেম্বরই…! আরজি কর কর্তৃপক্ষকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর। চিকিৎসক ধর্ষণের খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে হাসপাতালের অন্দরে হওয়া নানান দুর্নীতি, থ্রেট কালচারের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বড় নির্দেশ দিল আদালত।

  • কী নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি?

চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর আরজি করের (RG Kar Medical College) অন্দরে থ্রেট কালচার চালানো, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিযোগে ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফকে সাসপেন্ড করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। গত অক্টোবর মাসে সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। এবার ওই মামলাতেই বড় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।

আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রাক্কালেও হুমকি সংস্কৃতি তথা থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় কি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল নাকি হাসপাতালে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ওই ৫১ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? বিগত ২ বছরে কতগুলি ওই ধরণের অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, কতগুলি অভিযোগ পুলিশে জানানো হয়েছে, এবার জানতে চাইল হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ শরীরে শান্তি নেই! ‘সপ্তাহে ২-১ দিন যদি…’! নওশাদের দাবি শুনে ‘হতভম্ব’ কারামন্ত্রী

আরজি করের অন্দরে থ্রেট কালচার সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে উচ্চ আদালত। শুক্রবার মুখবন্ধ খামে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জাস্টিস সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta)। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ অন্যান্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সেই সম্বন্ধিত নথিও আরজি কর কর্তৃপক্ষকে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই বিশদ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

Calcutta High Court

এদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বহু হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে আসে। বহু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার যেমন আরজি কর কর্তৃপক্ষের কাছে থ্রেট কালচারের সবিস্তার রিপোর্ট চাইল উচ্চ আদালত।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর