বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) আবহে সম্প্রতি এক ভাইরাল ওডিও ক্লিপের সূত্র ধরে ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তকে (Kalatan Dasgupta) গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) উঠলে কিসের ভিত্তিতে ওই বাম নেতাকে গ্রেফতার করা হল তা জানতে চাইলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এদিন হাইকোর্টের প্রশ্নবাণে রীতিমতো বিদ্ধ হয় রাজ্য। বিচারপতির প্রশ্ন, একজনের বক্তব্যের ভিত্তিতে কি আর একজনকে কি গ্রেফতার করা যায়? এর কোনও আইনগত ভিত্তি রয়েছে? নাকি ঔপনিবেশিক বদভ্যেস?
এদিন কলতানের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের তরফে হাজির হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। প্রসঙ্গত, বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে ধর্নারত জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে হামলা চালানোর ছক কষা হচ্ছে বলে দাবি করে একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আনেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর সঞ্জয় দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। পরদিন DYFIনেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাম নেতার গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এদিন আদালতে অভিযুক্তর আইনজীবীর সওয়াল, যে পেন ড্রাইভের ভিত্তিতে পুলিশ কলতানের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে তার ভিত্তি কি সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। যুক্তি দিয়ে কলতানের গ্রেফতারি বেআইনি বলেও দাবি করেন আইনজীবী। পাশাপাশি, ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা অপরিচিত ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে কি কাউকে গ্রেফতার করা যায়? এই প্রশ্নও তোলেন আইনজীবী।
পাল্টা রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, ধৃত সঞ্জীব ফোন করেন কলতানকে। কল ডিটেল রেকর্ডে কলতানের নম্বর মিলেছে। দু’জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কলতান নিজের মোবাইল আনলক করেননি। দু’পক্ষে বক্তব্য শুনে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, ‘ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তাহলে কি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে ধরব না? এভাবে তো যে কাউকেই ফাঁসিয়ে দেওয়া সম্ভব।’
আরও পড়ুন: ‘৭ জন ছিলেন, পরে ১ জন আসেন’! আরজি করে ‘সেই রাতে’ কী হয়েছিল? এতদিনে মুখ খুললেন সাক্ষী
বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ফোনালাপে অপরপ্রান্তে কে কী বলবে সেটা কেউ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে? এর জন্য কীভাবে অপরাধী হতে পারেন একজন? এর ভিত্তিতে কি একজনকে গ্রেফতার করা যায়? কলতানের গ্রেফতারির কারণ নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।