শাহজাহান মামলায় চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি! ভরা এজলাসেই বললেন, ‘আপনার ওপরওয়ালাকে…’,

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। খুন থেকে শুরু করে ধর্ষণ, বাদ নেই কিছুই। শুক্রবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিনটি খুনের মামলা উঠেছিল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে ছিল শুনানি। সেই মামলাতেই তীব্র ভর্ৎসনার সম্মুখীন হয় পুলিশ।

উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তিনজন বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে শেখ শাহজাহানের নাম। এমনকি এফআইআর-এও প্রথম নাম ছিল এই তৃণমূল নেতার (বর্তমানে সাসপেন্ডেড)। তবে চার্জশিট পেশের সময় তা উধাও হয়ে যায়! এদিন মামলার শুনানির সময় এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

চার্জশিট থেকে কেন শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল? জিজ্ঞেস করেন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, ‘অভিযুক্ত নম্বর ১-এ শেখ শাহজাহানের নাম রয়েছে। তাহলে বাদ দিলেন কেন? সাক্ষীরাও ওনার নাম জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কেন বাদ দেওয়া হল?’

আরও পড়ুনঃ মোদী তো…! বহরমপুরে এসেই ইউসুফ বললেন, ‘এটাই তো আমার ঘর, আমি এখানে থাকতে এসেছি’

উত্তরে তদন্তকারী অফিসার বলেন, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তখন বিচারপতি বলেন, ‘কার কথা বিশ্বাস করবেন আর কার কথা বিশ্বাস করবেন না সেটা আপনি ঠিক করে নিলেন’? এরপর উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলার মানে হয় না। আপনার সিনিয়র সঙ্গে কথা বলতে হবে’।

আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এদিন বলেন, এই ঘটনার পর বহুদিন কেটে গিয়েছে। রাজ্যকেও অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। আর দেওয়া যায় না! প্রত্যক্ষদর্শীরা শাহজাহানের নাম নিলেও তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম করা বাকি আছে।

sheikh shahjahan bjp worker murder case in calcutta high court

শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিনটি খুনের এই মামলায় পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল ফের শুনানি রয়েছে। সেদিন ফের মামলার কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দিয়েছেন জাস্টিস সেনগুপ্ত। অন্যদিকে আগের নির্দেশ অনুসারে এই মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর