‘আপনাদের জন্যই লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প মার খাচ্ছে’, পঞ্চায়েত প্রধানকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) মতো প্রকল্পগুলি কেবলমাত্র জনপ্রতিনিধিদের জন্যই মার খেয়ে যাচ্ছে’, এদিন হুগলির (Hooghly) একটি স্কুল প্রসঙ্গে মামলার শুনানি চলাকালীন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে ঠিক এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Gongopadhyay)। এছাড়াও আদালতের পক্ষ থেকে এদিন একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি, হুগলি জেলার জিরাটের চর খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে স্কুলটি গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বলে মামলা দায়ের করা হয়। কয়েকদিন পূর্বেই শুনানি চলাকালে এ প্রসঙ্গে একাধিক নির্দেশ পর্যন্ত দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এর পরেই আদালতের পক্ষ থেকে স্কুল পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হয় এক আধিকারিককে।

এদিন আদালতে হাজির হয়ে সেই আধিকারিক জানান, “চর খয়রামারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র চর্মরোগে ভুগে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন বিশেষ মন্তব্য করতে চায়নি। এমনকি, প্রতিনিয়ত সেই ছাত্রটি অস্পৃশ্যতার শিকার হয়ে চলেছে।” এই বিষয়টি উঠে আসার পরই কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে। সকল পক্ষের দাবি-দাওয়া শোনার পর পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দেশ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা আদৌ কেউ পায় কিনা, সে ব্যাপারে আপনি খোঁজ নিচ্ছেন না কেন? তাহলে আপনার দায়িত্ব কি? এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার। আপনাদের গাফিলতির জন্য লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্পগুলি ক্রমশ মার খেয়ে চলেছে।”

এরপরেই তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছোঁড়েন, “যে ছাত্রটি চর্মরোগের শিকার, তার মা লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন কি?” যদিও এ প্রসঙ্গে কোনো উত্তর দিতে পারেননি পঞ্চায়েত প্রধান। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে তাকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

kolkata highcourt

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছু সময়ে যেভাবে স্কুলটির মাঠ থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক স্থান গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে স্কুল খালি করার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে অস্থায়ী ভাবে স্কুল নির্মাণের পক্ষেও রায় দেন বিচারপতি।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর