কীভাবে অভিযুক্তের জামিন? ফের হাইকোর্টে ধাক্কা, প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ পুলিশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পুলিশ! এক ধর্ষণের মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে আগেই লঘু ধারায় মামলা রুজু করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর হাইকোর্টে মামলা হতেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় লেক থানার পুলিশ আধিকারিকদের। এবার ফের এই মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) রোষের মুখে পড়তে হল তাদের।

  • অভিযুক্তের জামিন! বিস্মিত হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

কলকাতায় লেক থানা এলাকায় এক আইএএস অফিসারের (IAS Officer) বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। প্রথমে লঘু ধারায় মামলা রুজু করা নিয়ে হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বলে খবর। এরপর তুলনামূলক কঠোর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এবার এই মামলায় অভিযুক্ত নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছে শুনতেই বিস্মিত হয়ে যান বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

  • কী বলল হাইকোর্ট?

কলকাতার লেক থানা এলাকায় বাড়ি ওই আইএএস অফিসারের। তবে কর্মসূত্রে তিনি অন্য রাজ্যে থাকেন। তাঁর স্ত্রী থাকেন কলকাতায়। গত জুলাই মাসে স্থানীয় এক প্রভাবশালী প্রোমোটার ওই আইএএস অফিসারের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই মামলায় শুরু থেকেই পুলিশি তদন্ত নিয়ে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ আরজি করের প্রতিবাদে যাওয়ার জের? প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ‘ঘাড় ধাক্কা’ দেওয়ার অভিযোগ

মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে একজন পুরুষ পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ, তুলনামূলক লঘু ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা না করানো, তাঁর গোপন জবানবন্দি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতারির পর প্রথম দিনই অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে দেয় নিম্ন আদালত। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হতেই এই সকল ফাঁকফোকর ঠিক করার কাজ শুরু করে তদন্তকারীরা।

পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্তের জামিন খারিজ করার আর্জি জানানো হয়। তবে উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীনই অভিযুক্ত নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন এবং জামিন পেয়ে যান। একথা জানতে পেরেই অবাক হয়ে যান জাস্টিস ভরদ্বাজ (Justice Rajarshi Bharadwaj)। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে যে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে, সেটা কি পুলিশ নিম্ন আদালতে জানিয়েছিল?’

Calcutta High Court

গতকাল হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী অন্তরীক্ষ বসু বলেন, ‘হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর যেখানে কঠোর ধারা প্রয়োগ করা হল, সেখানে পুলিশ কেন অভিযুক্তকে নতুন করে গ্রেফতার না করে আগের জামিনের আর্জি খারিজ করে বসে রইল? নতুন ধারা প্রয়োগ করার পর অভিযুক্তকে আগাম জামিনের সুযোগ কেন দেওয়া হল? হাইকোর্টে যে এই নিয়ে মামলা চলছে, সেটা নিম্ন আদালতের কাছেও অন্ধকারে রাখা হয়েছে’।

এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, পুলিশ এখানে নির্যাতিতাকে নয়, বরং অভিযুক্তকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যা যা করণীয় সেটা করছে। আগাম জামিনের মামলায় কেস ডায়েরি তলব করা হয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর। তবে নিম্ন আদালতে আসল তথ্য জানানো হয়নি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৌঁসুলির দাবি, প্রথমে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে ধর্ষণের উল্লেখ ছিল না। পরবর্তীতে অভিযোগকারিণী ধর্ষণের কথা জানালে নতুন ধারা যোগ করা হয়।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর