OBC সংরক্ষণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মমতা সরকারের! জারি স্থগিতাদেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওবিসি সংরক্ষণ (OBC Certificate) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের (Government of West Bengal)। রাজ্যের করা সমীক্ষা নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। OBC নিয়ে সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তির পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের নতুন ওবিসি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট।

OBC সংরক্ষণ ইস্যুতে জট অব্যাহত | OBC Certificate

হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। সম্প্রতি ১৪০টি জনজাতিকে নিয়ে ওবিসি সংরক্ষণের নতুন তালিকা তৈরী করেছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, সোমবারই রাজ্য পোর্টাল চালু করে সমস্ত দপ্তরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করার কথা বলেছিল। তাতেও এদিন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। সেই দিন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এদিন হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের জেরে ফের প্রশ্নের মুখে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া।

উল্লেখ্য, মামলাকারীদের বক্তব্য, সমস্ত নিয়ম মেনে মোট জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে রাজ্য সমীক্ষা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিৎ। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সমীক্ষা করেনি অভিযোগ অভিযোগ করা হয়। মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে ভিন্ন রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশ ছিল উচ্চ আদালতের। কিন্তু রাজ্য জেলাভিত্তিক কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সমীক্ষা সীমাবদ্ধ রেখেছে।

আরও পড়ুন: রাস্তা বেহাল! কালীগঞ্জে ভোট চাইতে গিয়ে জনগণের তুমুল রোষের মুখে ফিরহাদ, ভিডিও দেখালেন সুকান্ত

আদালতে তাদের আরও দাবি ছিল, আগের ওবিসি তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার সামান্যই পার্থক্য রয়েছে। মোট জনসংখ্যা কত, রাজ্যের কাছে সেই বিষয়ে তথ্য নেই। সঠিক পদ্ধতিতে সমীক্ষার বদলে কোনও তথ্য ছাড়াই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আদালত বলেছিল নতুন জনগোষ্ঠীকে ওবিসির আওতায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। কিন্তু রাজ্য তা করেনি।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/pSUDL3q-d7Q?si=5hvZMpnDfy4KQ3ja

যদিও আদালতে রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা করার পর তার রিপোর্ট পেশ হয়েছে। রাজ্য সরকার জানায়, আদালতের নির্দেশ মেনেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্য তরফে বলা হয় মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। সমীক্ষার কথাও বলা হয়েছে। হাইকোর্টের পাল্টা প্রশ্ন, বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন কি? বিধানসভায় পেশ করার আগেই কীভাবে বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে দিলেন? রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির। সবশেষে রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন রেখে আপাতত ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।