বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত নভেম্বর মাসে মন্দারমণি (Mandarmani) এবং সংলগ্ন এলাকার ১৪৪টি হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে এবং লজ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০ নভেম্বর অবধি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তাতেই বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার মামলায় কী বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জেলাশাসকের তরফ থেকে হোটেল ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হতেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন মন্দারমণির হোটেল মালিকদের সংগঠন। গত ২২ নভেম্বর হোটেল ভাঙার নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।
গত শুনানিতে ১৩ ডিসেম্বর অবধি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার আগে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে বিশদ রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে জাস্টিস সিনহা না থাকার কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ’১২ সপ্তাহের মধ্যে…’! আরজি কর মামলার সুপ্রিম-শুনানি! বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আদালত সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, বিচারপতি অমৃতা সিনহা বর্তমানে পোর্টব্লেয়ার বেঞ্চে রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন জাস্টিস জয় সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta)। আগামী ২৪ জানুয়ারি অবধি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। ১৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির জেলা কমিটির তরফ থেকে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন এলাকার ১৪৪টি হোটেল, রিসর্ট, লজ, হোমস্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ওই অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। সেই নির্দেশে আগেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার তার মেয়াদ বৃদ্ধি করল আদালত।