উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ! আবাসন নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে কলকাতা হাই কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর থেকে শিরোনামে বেআইনি নির্মাণ। রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচ এলাকায় আচমকাই একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে। ১০ জন ব্যক্তির প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হন অনেকে। এরপর থেকেই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও কঠোর কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।

কোন আবাসনের বৈধ আর কোনটি অবৈধ, এবার কেনার আগেই সেকথা জানা যাবে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা এমনই নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন বলে খবর। আবাসন (Building) অনুমোদনের বিষয়ে যদি সত্যিই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে অগুনতি মানুষ উপকৃত হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ওয়েবসাইটে (Municipality Website) আবাসন সম্বন্ধিত বিশদ তথ্য থাকতে হবে। এদিন বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় এমনই মন্তব্য করেন জাস্টিস সিনহা (Justice Amrita Sinha)। এই মর্মে যদি নির্দেশিকা জারি করা হয় তাহলে ক্রেতাদের উপকার হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ঘুম উড়ল শাহজাহানের! সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI স্ক্যানারে এই ‘রাঘব বোয়াল’, ‘ফাঁস’ হল পরিচয়

এদিন বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানির সময় জাস্টিস সিনহা জানতে চান, কোন বহুতলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটা কি হাওড়া পুরসভার ওয়েবসাইটে দেখা যায়? যদি এই তথ্য পুরসভার পোর্টালে দেখা যায় তাহলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি এও বলেন, ‘এর ফলে ক্রেতারা আবাসন কেনার আগে নিশ্চিত হতে পারবেন যে সেটি আদৌ বৈধ নাকি অবৈধ’।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা-বারোটা নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচ এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বেআইনি এই বিল্ডিং ভেঙে পড়ার জেরে প্রাণ হারান ১০ জন ব্যক্তি। এই ঘটনার পর থেকেই ফের শিরোনামে অবৈধ নির্মাণ। ইতিমধ্যেই একাধিকবার গার্ডেনরিচ কাণ্ড নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।

justice amrita sinha on building permission

গত মঙ্গলবার এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই ঘটনায় রাজ্যের থেকে এবার রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৪ এপ্রিল।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর