বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় এবার রাজ্যের থেকে কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত বছরের অক্টোবর মাসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১৮ বছরের এক নাবালিকা। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল সে। ঐদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মায়ের সাথে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল তাঁর। ঘটনার পরের দিন সকালবেলা উদ্ধার হয় নাবালিকার দগ্ধ দেহ।
রাজ্যের কেস ডায়েরি তলব করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
ঘটনার দিন দুপুর ১টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার মা। অভিযোগ, পুলিশ চার্জশিট জমা দিলেও সেখানে বিএনএস ১০১ (খুন) ধারা যুক্ত না করে ১০৮ (আত্মহত্যা) ধারা উল্লেখ করা হয়। এরপর নদিয়ার কৃষ্ণনগর থানা এলাকার আশ্রমপাড়ার ১৮ বছরের ওই নাবালিকার মৃত্যুর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এই মামলায় সিবিআই বা সিট তৈরি করে তদন্ত করার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নাবালিকার মা।
কৃষ্ণনগরের এই মামলার শুনানিতে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল জবাবে জানান, মেয়েটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গত বছরের ১৫ অক্টবর নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন সকালেই দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর। এদিন আদালতে (Calcutta High Court) আইনজীবী আর্জি জানিয়েছেন এই ঘটনায় যেন সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে পুনরায় তদন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ঠুসে দেওয়া’ মন্তব্যে ঝটকা খেল হুমায়ূন! এবার বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল তৃণমূল
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তিনিই এদিন এই মামলার কেস ডায়েরি জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যকে। পাল্টা আবেদনকারীর আইনজীবী মনে করিয়ে দিয়েছেন, কেস ডায়েরিতে ধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হয়নি।
পাল্টা জবাবে বিচারপতি ঘোষ জানান, এখনও যৌন হেনস্থার কিছু প্রমাণিত হয়নি। তাই তিনি জানিয়েছেন আগে কেস ডায়েরি দেওয়া হোক, তার ভিত্তিতেই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন, নাবালিকার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। কীভাবে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যাবে? তখন বিচারপতি রাজ্যকে কেস ডায়েরি জমা করার নির্দেশ দেন। জানা যাচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।