বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) কতখানি দাপট ছিল তা এতদিনে জেনে গিয়েছে গোটা বাংলা। খুন থেকে শুরু করে ধর্ষণ, সাসপেন্ডেড এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর পরই যেমন তাঁর বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ছিল সেই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি রয়েছে শুক্রবার। সেদিন মামলার কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে (TMC) টেক্কা দিয়ে চমকপ্রদ ফলাফল করেছিল বিজেপি (BJP)। ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এই আবহে সন্দেশখালির ন্যাজাটে সুকান্ত মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল এবং তপন মণ্ডল নামের তিন বিজেপি কর্মী খুন হন। খুনের অভিযোগ উঠেছিল, এলাকার ‘বাঘ’ শাহজাহানের বিরুদ্ধে।
বিজেপি কর্মীদের খুনের এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। এরপর আদালত থেকে জামিন নেন। পরবর্তীকালে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। তখন চার্জশিট থেকে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিন বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় ন্যাজাট থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তবে বিজেপির দাবি, অভিযোগপত্রে নাম থাকলেও চার্জশিটে তৃণমূল নেতার (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নাম ছিল না।
আরও পড়ুনঃ এবার অনুমোদনহীন B.Ed কলেজগুলিকে দেওয়া হবে অনুমোদন! পড়ুয়াদের মুখ চেয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
এদিকে গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার পর প্রায় ৫৫ দিন ফেরার ছিলেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’। এরপর মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।
বর্তমানে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছে শাহজাহান। সম্প্রতি তাঁর ভাই শেখ আলমগীরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এসবের মাঝেই এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগের মামলার কেস ডায়েরি তলব করল হাই কোর্ট।