বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় এসএসসি ২৬ হাজার মামলা। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের বিরুদ্ধে বিরাট পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
গত বছরের ২৫ এপ্রিল ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মোট ৮৭৮ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাস্টিস মান্থা (Rajashekhar Mantha)। আদালতের (Calcutta High Court) সেই নির্দেশের পর মাঝে কেটে গিয়েছে ১০ মাস। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত একজনকেও নিয়োগ করা হয়নি। এতদিনেও নির্দেশ পালন না করায় এবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের ভূমিকায় বিরাট ক্ষুব্ধ হলেন জাস্টিস মান্থা। আগামী ২২ জানুয়ারি তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির মান্থা এদিন যখন এই রুল জারি করলেন তখন আইনজীবীদের একাংশ, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকারের আগ্রহ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর, এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ৮৭৮ জনের মধ্যে কাউকে নিয়োগ করা হলো না কেন?
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। বাম আমলের ৮০০ জনের বেশি প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল জাস্টিস মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন আগামী দু মাসের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বদলাচ্ছে নিয়ম? নির্দিষ্ট কন্ট্রোল রুম থেকে হেল্প লাইন! আবাস প্রকল্পে আরও কড়া নবান্ন
প্রসঙ্গত ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। তার পরের বছরেই অর্থাৎ ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের পালা বদল হয়। ক্ষমতায় আসে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন সরকার গঠন করেই বাম আমলের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপর পরবর্তী পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু ২০০৯ সালের পরীক্ষার্থীরা মামলা করেছিল করেছিলেন আদালতে।
২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সেই নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। আবেদনকারীদের হিসেব অনুযায়ী মোট ৮৭৮ টি শূন্য পদ ছিল। সেই পদেই নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। কিন্তু এই নির্দেশের প্রায় এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত একজন কেও নিয়োগ করা হয়নি। আর তাতেই এদিন প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।