বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ? এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়ল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে নতুন করে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিল নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিবার। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির পর সোমবার থেকে উচ্চ আদালতে সেই মামলার শুনানি শুরু হল। এদিনই বড় নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তিন প্রশ্নের মুখে সিবিআই!
গত বছর ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ। ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে সাত মাস। এদিন হাইকোর্টে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ ও সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ নেই, তদন্তে প্রচুর ফাঁক রয়েছে’। সিবিআইয়ের পরবর্তী তদন্তে যাতে আদালত নজরদারি চালায়, সেই আবেদনও জানানো হয়। একইসঙ্গে আর্জি, তদন্ত ঠিকঠাক না হলে আদালত যাতে ফের তদন্তের নির্দেশ দেয়।
জানা যাচ্ছে, এদিন শুনানি শুরু হতেই বিচারপতি ঘোষ মূলত তিনটি প্রশ্ন করেন তদন্তকারী সংস্থাকে। আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ? মূল অভিযুক্ত একা নাকি একাধিক ব্যক্তি ছিলেন? প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণার পর সিবিআই তদন্ত আর কতটা এগিয়েছে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে এই মামলার কেস ডায়েরিও তলব করা হয়।
আরও পড়ুনঃ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সুখবর! হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে কালীঘাটের কাকু
আরজি কর মামলায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ নং ধারা অনুসারে তদন্ত হয়েছে কিনা জানতে চান বিচারপতি (Justice Tirthankar Ghosh)। এদিন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আদালত ফের তদন্তের নির্দেশ দিলে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য মামলায় সিবিআই সক্রিয় হলেও আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে এত ধীর গতি কেন?
কল্যাণ বলেন, ’কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে ১৫ দিনের সময়সীমা দিয়ে তদন্ত গোটানোর নির্দেশ জারি করুক আদালত। প্রায় ১ বছর ধরে তারা তদন্ত করছে, কী পেল? রাজ্যের মানুষ, দেশ জানতে চায়’।
অন্যদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার উচ্চ আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করবে তদন্তকারী সংস্থা। সেদিনই বিকেল ৩:৩০ নাগাদ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।