বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোনও মন্তব্য নয়, শুধুমাত্র হাততালি দিয়েছিলেন! তাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ! তৃণমূলের এক নেতার শিশুকন্যা সম্বন্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দুই মহিলা। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতেই বিরাট নির্দেশ দিল আদালত।
‘৩ অক্টোবরের মধ্যে…’, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
তৃণমূল কংগ্রেসের ওই হেভিওয়েট নেতার শিশু কন্যা সম্বন্ধে কুমন্তব্য করার অভিযোগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ও ৮ সেপ্টেম্বর দু’জন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, হেফাজতে নিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের (Justice Rajarshi Bharadwaj) বেঞ্চে এই মামলা উঠেছিল।
জেলা সুপারের কাছ থেকে ওই মহিলাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা করতে হবে। এদিন শুনানি চলাকালীন জাস্টিস ভরদ্বাজ জিজ্ঞেস করেন, ‘একটা অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত থানার কাউকে গ্রেফতার করতে পারে?’
আরও পড়ুনঃ ১০০০-১২০০ অতীত! এবার মাসে মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২০০০! পুজোর আগেই বড় ঘোষণা
জানা যাচ্ছে, এই মামলা আদতে ফলতা থানার। তবে একাধিক থানায় এই রকম অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। এদিন ধৃত দুই মহিলার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘আমরা কোনও মন্তব্যই করিনি। শুধুমাত্র হাততালি দিয়েছি। সেই জন্য পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে?’
বিগত প্রায় ২০ দিনের ওপর হেফাজতে রয়েছেন ওই দুই মহিলা। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী। পাল্টা রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়, ‘হেফাজতে অত্যাচারের কথা অভিযুক্তরা নিম্ন আদালতে কেন জানাননি?’
রাজ্যের আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বলেন, ‘খুবই লজ্জার ঘটনা। কেউ এই ধরণের মন্তব্যে উৎসাহ দেয়? সমাজে এই ধরণের মন্তব্য করা যায়?’ জাস্টিস ভরদ্বাজকে এদিন জানানো হয়, ভিডিও দেখে যাদের যাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যিনি ওই কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন, সেই ব্যক্তি বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর জেল সুপারের কাছ থেকে ওই দুই মহিলার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্টের বিচারপতি। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।