বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় (OBC Certificate) ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করেছে। উচ্চ আদালততের রায়ের জেরে এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছে। হঠাৎ হাইকোর্টের এই রায়ের পর সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কলেজ পড়ুয়া থেকে চাকরি প্রার্থীরা। রাজ্যের শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে যারা ওবিসি কোটায় ভর্তি ও সুবিধা পেত তাদের জন্য টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থায় পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে? রাজ্য শিক্ষা দপ্তরই বা কি জানাচ্ছে?
আপডেট অনুযায়ী বাতিল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে যারা আগে থেকেই ভর্তি হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে হাই কোর্টের রায়ের কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে এই শংসাপত্র ব্যবহার করে নতুন করে স্কুল বা কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না। ২০১০ এর পর থেকে বাতিল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কোটা সুবিধা পেয়ে যারা আগেকার পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে, নতুন করে কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এই সার্টিফিকেট আর ব্যবহারযোগ্য নয়।
স্কলারশিপের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বাতিল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে যারা স্কলারশিপ পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই রায়ের কোনো প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই আবেদন করে সুবিধা পাচ্ছেন, তারাও সেই কোর্সের জন্য পেয়ে যাবেন। তবে একই ভাবে নতুন করে এই সার্টিফিকেট আর ব্যবহার করা যাবে না। আপাতত যাদের সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে তাদের বাতিল হিসেবে ধরেই সমস্ত কাজ করতে হবে জেনারেল (General) কোটাতে।
ওবিসি শংসাপত্র বাতিল নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা তিনি মানছেন না, তা বুধবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অভিজ্ঞ আধিকারিকদের মতে, আদালতের রায়ে চাকরিরতদের কোনো সমস্যা না হলেও, চাকরিপ্রার্থীরা অবশ্যই অসুবিধায় পড়বেন। যে কোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্যপদের নিরিখে সাধারণ, তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি বা ওবিসি সংরক্ষণ অনুযায়ী পদের সংখ্যা স্থির হয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বড়সড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস? বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ কোটির জাল বিলিতি মদ! তোলপাড়
বর্তমানে ওবিসি-শংসাপত্র নিয়ে জটিলতা থাকায় তাদের বাদ দিয়েছি রোস্টার তৈরি সম্ভব নয়। ফলে আপাতত যেমন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না তেমনই চাকরির পরীক্ষায় নির্বাচিত যোগ্যদের ডাকার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। সমস্যায় পড়েছেন ওবিসি তালিকাভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরাও। প্রায় সমস্ত মহলেরই দাবি, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে আপাতত হাইকোর্টের রায়ের ওপর ন্যূনতম স্থগিতাদেশ পাওয়া না-গেলে সমস্যা থেকে যাবে।