বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে পুজোর আগে মিলল সুখবর। ২২ বছর পর জয় পেলেন শিক্ষক (Teacher)। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখরচন্দ্র ভুঁইয়াকে উচ্চতর বেতন প্রদানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বেতন ও পাওনা মেটানোর জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ঠিক কি নিয়ে মামলা? ১৯৯৪ সালে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুরের মশাগ্রাম শিবানন্দ হাই স্কুলে যোগ দেন শেখরচন্দ্র ভুঁইয়া। পাঁচ বছর আগে তিনি অবসর নেন। চাকরিতে যোগদানের সময় তিনি স্নাতক ছিলেন। পরে কর্মকালেই ২০০২ সালে ইতিহাসে এমএ (স্নাতকোত্তর) করেন। স্কুল পরিচালন সমিতির অনুমতি নিয়েই তিনি MA পাশ করেন। এরপর ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তরের ভিত্তিতে উচ্চ স্তরের বেতনের জন্য আবেদন জানান।
অভিযোগ, তার উচ্চ স্তরের বেতনের আবেদন বিবেচনা করে বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ তা খারিজ করে দেয়। এরপর তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট শিক্ষা পর্ষদের অধিকর্তাকে পুনরায় শিক্ষকের আর্জি বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয়। তবে ফের শিক্ষকের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২ লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার, পুজোর মুখে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই বিষয়ে রাজ্য যুক্তি দিয়ে জানায়, ২০০৫ সালের নতুন বিদ্যালয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নিয়ম চালু হয়। তার পর ওই শিক্ষক আবেদন করেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী তার উচ্চ স্তরের বেতনের আবেদন সঠিক নয়। ২০১১ সালে ফের হাই কোর্টে আবেদন করেন শিক্ষক। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, তার মক্কেল ২০০২ সালে এমএ পাশ করেছেন, তার পর নতুন নিয়ম চালু হয় ২০০৫ সালে। এক্ষেত্রে তিনি উচ্চতর বেতন পাওয়ার যোগ্য। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে মামলাকারী শিক্ষকের পক্ষেই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।