বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৩ মার্চ সকাল প্রায় ১০:৩০ থেকে রাত ২:২০ অবধি প্রত্যেক মুহূর্তের তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
কোন মামলায় এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
মার্চের শুরুতেই যাদবপুরকাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে তাঁকে হেনস্থা, পাল্টা তাঁর গাড়িতে এক ছাত্রকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩ মার্চ তথা সোমবার ধর্মঘটের ডাক দেয় নানান বামপন্থী সংগঠন। সেদিনই মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার লক আপে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে!
যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন DSO নেতা কর্মীরা। সেই সময় তাঁদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে থানায় অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। AIDSO-র প্রতিবাদী মহিলা সদস্যদের মোমের ছ্যাঁকা, হাতে গরম মোম ঢেলে দেওয়া থেকে শুরু করে চুল টেনে শূন্যে ধরে পায়ের তলায় মারের অভিযোগ ওঠে। AIDSO-র চারজন নিগৃহীতা মহিলা কর্মী সমর্থক এই অভিযোগ আনেন।
আরও পড়ুনঃ ফের বঞ্চিত বাংলা! এবার কোন প্রকল্প? সংসদে অভিষেক-দেবের প্রশ্নে ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য
ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court) অবধি। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এবং থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে মামলার আর্জি জানান সুশ্রীতা সোরেন।
এবার AIDSO নেত্রীর এই মামলাতেই তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার দিন সকাল প্রায় ১০:৩০ থেকে রাত ২:২০ অবধি প্রত্যেক মুহূর্তের রেকর্ড চেয়েছে আদালত। আটক থেকে মুক্তি অবধি প্রত্যেকটি মুহূর্তের তথ্য চেয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক বৈঠক করে প্রথমে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন নিগৃহীতারা। দাবি করেন, বাংলার একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘুরলেও তাঁদের চিকিৎসা করে কোনও ইনজুরি রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। আদালতের সামনেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পুলিশ সুপার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।