বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুরসভা ও ওয়েটল্যান্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। বলা হচ্ছে, পূর্ব কলকাতার জলাভূমি বুজিয়ে তৈরী বেআইনি বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে ‘পিক আ্যান্ড চুজ’ পদ্ধতি অবলম্বন করছে ওই কর্তৃপক্ষ। সোমবার আদালতে (Calcutta High Court) মামলাকারীর এই অভিযোগ শোনামাত্রই বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, দিয়েছেন আবেদনকারীকে এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য জানাতে হবে।
রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
আগামী ৫ মে–র মধ্যে ওই বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একগুচ্ছ তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত(Calcutta High Court)। বলা হয়েছে, ওই জলাভূমির ঠিক কোথায় কোথায় বেআইনি নির্মাণ রয়েছে আর কোনগুলি বেআইনি হওয়া নির্মাণ হওয়া তার সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, বিস্তারিত ভাবে এই সমস্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাকারীর আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি এদিন আদালতে (Calcutta High Court) অভিযোগ করেছেন, ওই জলাভূমি বুজিয়ে কয়েক হাজার বেআইনি নির্মাণ তৈরী করা হয়েছে, তার মধ্যে শুধুমাত্র বেছে বেছে কয়েকটি নির্মাণ চিহ্নিত করে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই এদিন বিচারপতি সিনহা কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ওয়েটল্যান্ড এলাকায় আর যেন নতুন করে কোনও নির্মাণ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এবার চাকরি না করেও মিলবে নিশ্চিত পেনশন! কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া ঘোষণায় খুশির হাওয়া
ওই সমস্ত বেআইনি নির্মাণে আর যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা না পৌঁছয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপরেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এই কারণে সিইএসসি বা ডব্লিউবিএসইডিসিএল—যে সংস্থা ওই এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা দিত তাদের বলা হয়েছে বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করে লাইন কাটার পর আর যেন সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা না দেওয়া হয়।
আরও এক মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ওয়েটল্যান্ডের জায়গায় বাড়ি বানাতে পুরসভা অনুমতি দিয়েছে। সেই অনুমতি পেয়েই বাড়ি বানানো হয়েছে। তবে একথা শুনে বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেছেন, কেউ ওয়েটল্যান্ড এলাকায় জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি করলে সেখানে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাঁর পর্যবেক্ষণ, পুরসভা বা ওয়েটল্যান্ড কতৃর্পক্ষ কোনও ভাবেই এমন জায়গায় অনুমতি দিতে পারেন না। ওই নির্মাণ বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে।
ওয়েটল্যান্ড কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী সোনাল সিনহা জানিয়েছেন, চৌবাগা, নোনাডাঙা, এবং সোনারপুরে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে এবং পুর্ব কলকাতা জলাভূমি ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বাড়ি বানিয়েছে। সেগুলি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। একথা শুনে মামলাকারীদের আইনজীবীদের কটাক্ষ, সে সব মৌজায় হাজার হাজার বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, অথচ ওয়েটল্যান্ড কর্তৃপক্ষ মাত্র তিনটিকে বেআইনি বলে চিহ্নিত করেছেন।