বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে বেআইনি নির্মাণের (Illegal Construction) রমরমা। বিগত কিছু সময়ে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। বেআইনি দখলদারি রুখতেও কড়া হাতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। কিন্তু কোথায় কি! এবার সেইরকমই এক মামলায় বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বাদুড়িয়া থানার আইসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসতেই সেই আইসির হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তার বেতন পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ।
কি ঘটেছিল? বসিরহাট পুলিশ জেলার অধীনের বাদুড়িয়া থানার জগন্নাথপুরের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের জমি জবর দখলের অভিযোগে মামলা হয় নিম্ন আদালতে। ওই ব্যক্তির অভিযোগ পুলিশের মদতেই বেআইনি নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছে। এরপর নিম্ন আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগে তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি।
বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত সেই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, সেই মামলায় আদালতে বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট পেশ করেছেন বাদুড়িয়া থানার আইসি। সূত্রের খবর, আইসি রিপোর্ট দিয়ে আদালতে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে ‘ফেরেববাজি’ করে ওই নির্মাণ গড়ে উঠেছে। এই দেখেই বিচারপতি ক্ষোভপ্রকাশ করেন।
সরকারি আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘বসিরহাটে কি কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই নাকি? পুলিশ কি ওখানে শুধু অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করে থাকে? ওখানে তো আইসি-ই শেষ কথা।’ সীমান্ত এলাকায় থানার এই ‘হাল’ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, ‘একটা বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলাতেই যদি আইসি-র সোর্সের এই দশা হয় তাহলে অপরাধমূলক মামলায় তিনি তদন্ত করবেন তা বোঝার বাকি নেই।’
আরও পড়ুন: ‘বাংলার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হলে…’! বাংলাদেশ ইস্যুর প্রেক্ষিতে কড়াকড়ি! বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, ‘ওনার ওই পদে থাকার কোনও অধিকারই নেই। রাজ্য পুলিস জেলা তৈরি করছে তাও আদালতের কথা শুনছে না। এরপর যদি ঠিকঠাক রিপোর্ট না জমা পড়ে তাহলে আইসি-র সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে তার বেতন বন্ধ করে দেব। এটাই লাস্ট সুযোগ।’ রিপোর্ট পেশ করার জন্য এক মাসের সময় দিয়েছে আদালত। জানুয়ারি মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি।