বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উপস্থিতিতে কারচুপির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বাবাসাহেব আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৬০ জন পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ছিল, জরিমানা নেওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার পর্যাপ্ত না থাকার কারণে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসার অনুমোদন দেওয়া হয়নি তাদের। এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
৬০ জন পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৬০ জন পড়ুয়াকে বিএড কোর্সের প্রথম সিমেস্টারে বসার সুযোগ করে দেওয়ায় জন্য নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী এক মাসের মধ্যে ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
শুধু তাই নয়, ছাত্র ভর্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। আদালতে পড়ুয়াদের (Students) আইনজীবীর সওয়াল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় বসার অনুমোদন পেতে অন্তত ১০০ দিন উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ওই পরীক্ষার্থীরা ৭৭ দিন উপস্থিত থাকায় তাদের থেকে ২৩ দিনের অনুপস্থিতি বাবদ জরিমানা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, জরিমানা নেওয়ার পরও ওই পড়ুয়াদের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন অনেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দিয়েছে যারা উপস্থিতির নিয়ম ঠিকমতো মানেনি। অর্থ্যাৎ পরীক্ষা নিয়ে সব পড়ুয়ার ক্ষেত্রে সমান মনোভাব দেখায়নি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: বন্ধ থাকবে পরীক্ষা! কোনো নিয়োগও হবে না! শিক্ষক দুর্নীতির মাঝেই বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
এরপরই এই মামলায় জাস্টিস অমৃতা সিনহা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সেশন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কতগুলি কলেজকে অনুমোদন দিয়েছিল সেই হলনামা তলব করেছেন বিচারপতি। জমা দিয়ে বলা হয়েছে ওই সেশন চলাকালীন মধ্যবর্তী সময়ে যারা ভর্তি হয়েছেন সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও। একই সাথে সেশন চলাকালীন যেসমস্ত কলেজগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি দিয়েছিল সেখান থেকে সেশনের মাঝে ভর্তি হওয়া কতজন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেই নিয়েও রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta High Court)।