বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় রাজ্যের বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদের বকেয়া ডিএ যত শীঘ্র সম্ভব মেটাতে হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মহার্ঘ ভাতা না মেটানোয় কড়া ব্যবস্থা নিলেন উচ্চআদলতের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশে বন্ধ হলো বিদ্যুৎ পর্ষদের তিন কর্তার বেতন। এরই সঙ্গে আদালত বিদ্যুৎ পর্ষদের আইনজীবীদের কটাক্ষ করে বলেছে, ডিএ-র টাকা কি বাদামভাজা খাওয়ার জন্য দিতে বলা হয়েছে? আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মনে করছেন আদালত পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছে, মহার্ঘভাতা কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। এই টাকা তাঁদের দিতেই হবে।
এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদের ডিএ না দেওয়া অপরাধে বিদ্যুৎ পর্ষদের সিএমডি এবং দুই জেনারেল ম্যানেজারের বেতন বন্ধ করতে হবে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের বেতন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে এর মধ্যে নির্দেশ মতো টাকা দেওয়া হলে বেতন বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহারও করে নেওয়া হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
আদালত বিদ্যুৎ পর্ষদকে নির্দেশ ২০১৯ এবং ২০২০ সালের বকেয়া মহার্ঘভাতার পাঁচ ভাগের এক ভাগ কর্মীদের দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে শুধু ২০১৯ সালের বকেয়ার পাঁচ ভাগের মাত্র এক ভাগ টাকাই দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২০ সালের নতুন রুল অনুসারে বকেয়া ডিএ হিসাব করে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ দেওয়া হল না কেন সেই প্রশ্নই তুলেছে আদালত। বিচাপতির বলেন, বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি? যতদিন নির্দেশ না মানা হচ্ছে ততদিন আধিকারিক দের বেতন বন্ধ থাকবে।
রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের আওতায় দুটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা এবং বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা ডব্লিউবিএসইডিসিএল এবং ডব্লিউবিপিডিসিএলের কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত আরও নির্দেশ দেয়, ২৩ জুনের মধ্যে রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের ডিএর পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দিতে হবে। ২৪ জুন আদালতকে জানাতে হবে নির্দেশ পালন হয়েছে কি না। তার সঙ্গে এটাও জানাতে হবে বাকি টাকা কত দিনে মেটাতে পারবে বিদ্যুৎ পর্ষদ। কিন্তু নির্দেশ পালন না হওয়ায় বিদ্যুৎ পর্ষদকে কটাক্ষ করল হাইকোর্ট।