বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo) নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court)। সেই মামলাতেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিল বহিরাগতরা পুজো করতে পারবেন না যাদবপুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জ্যোতির্ময় সেনের করা মামলায় এমনই নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
পুজো মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। দীর্ঘক্ষণ চলে সওয়াল-জবাব পর্ব। সব পক্ষের অভিযোগ বিস্তারিত শুনে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, সরস্বতী পুজোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষাকর্মী ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসের মধ্যে পুজো বা কোনও অনুষ্ঠান করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দু-দু’টি পুজোর উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর কর্মী-সমর্থকেরা। সেই মতই চলছিল আয়োজন। একটি পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল ক্যাম্পাসের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক তার আয়োজক। অন্যদিকে গান্ধী ভবনে আয়োজিত পুজোর আয়োজক টিএমসিপি ইউনিটের নেত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী রাজন্যা হালদার।
একই ক্যাম্পাসের মধ্যে দুটি পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয় চাপানউতোর। একদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, “কোনও বহিরাগত ছাত্র বা ছাত্রী আমাদের সংগঠনের নাম নিয়ে, পোস্টার চুরি করে যদিও কোথাও পুজো করেন, যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিট তার দায়িত্ব নেবে না। ওই পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও আমাদের কোনও দায়িত্ব নেই।’’
আরও পড়ুন: ৬০ কিমি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া! একটু পরই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে: আবহাওয়ার খবর
ওদিকে পাল্টা রাজন্যা বলেন, ‘‘আমি প্রাক্তনী হলেও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখনও যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই পুজোর উদ্যোগ নিয়েছি।’’ এরপরই ‘বহিরাগত’দের পুজোর বিরোধীরা করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র। মঙ্গলবার দুপুরে সেই মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত নন এমন কোনও ব্যক্তি ক্যাম্পাসে পুজো করতে পারবেন না।