বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল মেডিক্যালে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট)। সেই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ে আবেদন। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Highcourt) এবার হলফনামা দিতে বলল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ)। বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই মামলা শোনে।
তারপর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এনটিএ-কে দশ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেডিকেলের কাউন্সিলিং নির্ভর করবে এই মামলার রায়ের উপর। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন দু সপ্তাহ পরে। তারপর এই মামলাটি শুনবে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন : নিজের টাকায় সাহায্য করেন গরিবদের! বাঙালি এই পুলিশ অফিসারের কাহিনী শুনলে গর্ব হবে আপনারও
কেন্দ্র ও রাজ্য সংরক্ষণ নীতি মেনে কীভাবে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, প্রকাশ করা হবে সেটি। যতক্ষণ না আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে ততক্ষণ সংরক্ষিত থাকবে নিটের তথ্য। নিটের কাউন্সেলিং শুরু হবে আগামী জুলাই মাস থেকে। মোট ৭২০ নম্বরে হয় নিট পরীক্ষা। প্রত্যেকটি প্রশ্নের মান ৪। আদালতে আবেদনকারী জানিয়েছেন, ফলাফলে দেখা গেছে বহু পরীক্ষার্থী ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর পেয়েছেন।
আরোও পড়ুন : ‘আগামী ১০ বছর কেন্দ্রে NDA’, ৯ জুন শপথ! মোদীকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির
ওই আবেদনকারী প্রশ্ন তুলেছেন, এক একটি প্রশ্নের মান যদি ৪ নম্বর হয়, তাহলে কীভাবে একজন পরীক্ষার্থী এই নম্বর পেতে পারেন? এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট হলফনামা চেয়েছে এনটিএ-র।গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় নিটের ফলাফল। লোকসভা নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণা নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ইচ্ছা করে ওই দিন প্রকাশিত করা হয়েছে নিটের ফলাফল।
১৪ই জুন প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল নিটের রেজাল্ট। তাঁর আরো অভিযোগ, ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন ৬৭ টি জন। তাঁদের মধ্যে একই পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৬ জন। কংগ্রেস নেতা অভিযোগ তুলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। সেক্ষেত্রে ৬৭ জনের প্রথম স্থান অধিকার করা সন্দেহজনক।