বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারলেন একসাথে ৩০০ জন পরীক্ষার্থী। জানা যাচ্ছে, রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না হওয়ার কারণেই প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারলেন না তাঁরা। কিন্তু কেন? আসলে এই সমস্ত পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে। এমনকি গত বছরের নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত একাধিকবার কলেজ পরিবর্তন করেছিলেন তাঁরা। সম্ভবত এই কারণেই তাঁদের রেজিস্ট্রেশন ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছে।
প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ৩০০ পড়ুয়া
অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আগেই মামলা করেছে একটি কলেজ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত চলতি শিক্ষাবর্ষে উচ্চ-শিক্ষা দফতরের নজরদারিতে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজগুলিতে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ক্লাস শুরু হওয়ার পরেও দেখা যায় একাধিক কলেজে অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে।
তখন আরও পড়ুয়াদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। ওই সময় অনেকেই কলেজ পাল্টেছিলেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দিয়েছিল। তবে অনেকেই সেসময় রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। কলেজ পরিবর্তনের কারণেই ওই সমস্ত পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যা হয়েছে বলে জানা যায়।
একসাথে এতজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমস্যার পিছনে নাকি একাধিক কারণ রয়েছে। কেউ কেউ এক কলেজে ভর্তি হয়ে অন্য কলেজে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এক বছর বাদ পড়ার পর অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তাঁরাই আবার নতুন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করেছেন।
শুধু তাই নয়, বলা হচ্ছে কেউ-কেউ এমনও আছেন যে বা যারা নির্দিষ্ট সময়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। কেউ আবার সময়মতো ফর্ম-ফিলআপ করেননি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের অন্তিম সময় বাড়িয়ে আমরা কলেজ এবং পড়ুয়াদের যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছি। অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের একাংশ যথাযথ পদ্ধতি মেনে চলেননি।’ যদিও কলজগুলির দাবি, পদ্ধতিগুলি আরও সহজ করা প্রয়োজন।