বাংলাহান্ট ডেস্ক: ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে যতই লাইমলাইটে থাকুন না কেন, রাজনৈতিক দিক দিয়ে একে অপরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী যশ দাশগুপ্ত (yash dasgupta) ও নুসরত জাহান (nusrat jahan)। দুজনের সম্পর্কের গুঞ্জন যখন মাঝ আকাশে ঠিক তখনি বিজেপিতে যোগ দেন যশ। রাজনৈতিক মঞ্চে একে অপরের সঙ্গে এখনো দেখা না হলেও দলের হয়ে প্রচারই মিলিয়ে দিল দুজনকে।
চণ্ডীতলা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন যশ। প্রতিদিনই জোর কদমে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞতাটা যেন প্রচার দিয়েই ঢেকে দিতে চান তিনি। অপরদিকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও দলের হয়ে প্রচারে কোনো কমতি রাখছেন না তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
এমন অবস্থায় কোনোদিন মুখোমুখি না হলেও প্রচারই মিলিয়ে দিল যশ ও নুসরতকে। আসলে প্রচারে বেরিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন যশ নুসরত দুজনেই। তারকা স্ট্যাটাস ভুলে মিশে যাচ্ছেন মানুষের সঙ্গে। মানুষও হাত বাড়িয়ে আপন করে ইচ্ছেন তাঁদের। প্রচারের সময় দুই দিদার থেকছ আশীর্বাদ নিতে দেখা গিয়েছে যশ ও নুসরতকে।
দুজনের আলাদা আলাদা দুটি ছবি কোলাজ করে পোস্ট করা হয়েছে যশ নুসরতের ফ্যানক্লাবের তরফে। ক্যিপশনে লেখা, দিদিমা ঠাকুমার ভালবাসায় উদ্ভাসিত যশ নুসরত। এই ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
https://www.instagram.com/p/CMzao_fBkN3/?igshid=xln2pn817rr1
প্রসঙ্গত, রাজনীতির জগতে নুসরত যশের তুলনায় অভিজ্ঞ একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তাহলে কি ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’র কাছে রাজনৈতিক টিপস নেবেন যশ? উত্তরে অভিনেতার সাফ উত্তর, না। এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে যশ বলেন, শুধু নুসরত বা মিমি নয় দেবও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক টিপস কারোর কাছ থেকেই নেবেন না তিনি। যে দলে তিনি ঢুকেছেন তার থেকে বড় রাজনৈতিক টিপস আর কেউই দিতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন যশ।
এখানেই না থেমে তিনি আরো বলেন, “টিপসে বিশ্বাস করে কি হবে? যে ফিল্ডের কথা হচ্ছে সেখানে টিপস তো অ্যান্টি হয়ে যেতে পারে। দুটো টিম যদি আলাদা হয়, মাঠের বাইরে তোমরা যতই ভাল বন্ধু হও তুমি যদি বিরোধী টিমের থেকে টিপস নিতে যাও তাহলে তো তোমার টিম হেরে যাবে।”