বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ গত ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে হয়তো অনেকে ধারণা করেছিলেন যে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিরাট কোহলিদের ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়ে আরসিবিকে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছিল নীতিশ রানার (Nitish Rana) কেকেআর। আজ ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে জয় পেলেই প্রবল ভাবে প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে আসতেন নাইটরা।
গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষাতে অভাবনীয় জয় পেয়েছিলেন কেকেআরের ক্রিকেটাররা। রিঙ্কু সিং মহাকাব্যিক পারফরম্যান্স করেছিলেন। কিন্তু আজ ঘরের মাঠে সেই রিঙ্কুই চূড়ান্ত ফ্লপ। ১৮ বল খেলে মাত্র ১৭ রান করলেন, ফিল্ডিংয়েও করেছেন একাধিক ভুল। শেষপর্যন্ত জশুয়া লিটল, নূর আহমেদ, বিজয় শঙ্করদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভর করে গুরবাজ, রাসেলের পারফরম্যান্সকে ফিকে করে গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ জিতে পয়েন্টস টেবিলের শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছে।
এখন কেকেআর ভক্তদের মনে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। চলতি মরশুমে তাদের প্রিয় দল ইতিমধ্যে নয়টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তার মধ্যে ছয়টি ম্যাচেই তাদের হারের মুখ দেখতে হয়েছে। আরসিবিকে দুইবার হারানো ছাড়া আর একবার অবিশ্বাস্যভাবে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র জয় পেয়েছিল নাইটরা। হাতে রয়েছে এখনও পাঁচটি ম্যাচ। কেকেআরের পক্ষে কি প্লে-অফে পৌঁছানো সম্ভব হবে?
দশ দলের লিগের হিসাব বলছে নিজের যোগ্যতায় অন্য কারোর ওপর নির্ভর না করে টপ ফোরে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে অন্তত ৯টি ম্যাচ জিততেই হবে কোনও দলকে। এই কাজটা করা কেকেআরের পক্ষে আর সম্ভব নয়। অর্থাৎ তাদের নিজেদের হাতে আর কিছুই নেই। তবে কি তাদের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে?
তেমনটা হয়তো এখনই বলা যাবে না। আটটি ম্যাচ জিতলেও এখনো টুর্নামেন্টে টিকে থাকবে নাইটরা। তবে সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের হাতে কিছু থাকবে না নিজেদের ম্যাচগুলি জেতা ছাড়া। সেই সঙ্গে আশা করতে হবে যে দুটি দল টুর্নামেন্টের শীর্ষ দুটি স্থান অধিকার করছে পয়েন্টস টেবিলে তারা যেন বাকিদের চেয়ে অনেকটা বেশি এগিয়ে থাকে পয়েন্টে। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে থাকা দলকে পরপর ম্যাচ হেরে পয়েন্ট ড্রপ করতে হবে। সেই সঙ্গে আরসিবি বা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলগুলি যারা এই মুহূর্তে কেকেআরের মতো জায়গাতেই রয়েছে তারা যেন খুব বেশি ম্যাচ না যেতে সেই ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে। তবে এতগুলো যদির ওপর আর ভরসা করা যায় কিনা সেই নিয়ে চিন্তিত কেকেআর ভক্তরা।