বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আইপিএলে নিজেদের শেষ তিনটি ম্যাচের দুটিতে জয় পেয়ে প্লে অফের দৌড়ে ফিরে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই মুহূর্তে ১২ টি ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট সংখ্যা ১০। কাল মরশুমে দ্বিতীয়বারের মতো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে এখনও নিজেদের প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে শ্রেয়স আইয়াররা। কাল প্রথমে ব্যাট করে ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং নীতিশ রানার ইনিংসে ভর করে ১৬৫ রান বোর্ডে তুলেছিল কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মুম্বাই ব্যাটিং লাইন আপ। ব্যতিক্রম ঈশান কিষান। তার ওপেনিং পার্টনার রোহিত শর্মা বিতর্কিত ভাবে আউট হয়ে ফেরার পর তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি মুম্বাইয়ের হয়ে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। ৪৩ বলে ৫১ রান করে কামিন্সের শিকার হন তিনি। বাকি ব্যাটারদের কেউই কোনও প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কামিন্স। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে তিন ওভারে ১০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন কিউয়ি পেসার টিম সাউদি। ২ উইকেট নেন রাসেল। তাদের দাপটে ১৮ ওভারের মধ্যে ১১৩ তে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই।
বড় ব্যবধানে জিতলেও কলকাতার রান রেট এখনও নেগেটিভ। প্লে অফ জিততে গেলে নিজেদের দুটি ম্যাচে শুধু বড় ব্যবধানে জিতলেই হবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর পারফরম্যান্সের দিকেও। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে ১৪ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছবে কেকেআর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এইমুহূর্তে ১২ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে। তারা আর একটি ম্যাচও জিতলে কেকেআরের প্লে অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।
অবশ্য কোহলিরা দুটি ম্যাচ হারলে এবং নিজেরা সবকটি ম্যাচ জিতলেই প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে না কেকেআর। নাইটদের থেকে এক ম্যাচ কম খেলে সমসংখ্যক পয়েন্ট পেয়ে নাইটদের ওপরে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের হাতে ৩ টি ম্যাচ রয়েছে। তারা যদি তার মধ্যে সবকটি বা অন্তত ২ টি ম্যাচে জয় না পায় তবেই বেঁচে থাকবে কেকেআরের আশা। যদিও তারা দুটি ম্যাচ হারলে সেক্ষেত্রেও রান-রেটের অঙ্ক চলে আসবে হিসাবে।