বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেরলের (Kerala) ইদুক্কির দেবিকুলাম বিধানসভা কেন্দ্রটি সংরক্ষিত তফসিলি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সেই কেন্দ্র থেকেই জিতে বিধায়ক হন সিপিআইএম নেতা এ রাজা (CPIM Leader A Raja)। কিন্তু রাজা তফলিসি জাতিভুক্ত নন দাবি করে আদালতে মামলা করেন বিরোধীরা। সেই মামলায় প্রমাণিত হল দেবিকুলাম বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) বিধায়ক তাঁর জাতি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু বিধায়ক হওয়ার জন্য তিনি হিন্দু থেকে ধর্ম পরিবর্তন করে হন খ্রিস্টান
কেরল হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল সিপিএম। ভুয়ো তথ্য পেশ করায় খারিজ হয়ে গেল সংরক্ষিত দেবীকুলাম আসন থেকে জয়ী সিপিএম প্রার্থী এ রাজার বিধায়ক পদ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেরলের ইদুক্কি জেলায় তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ডি কুমারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন এ রাজা। এরপর তাঁর পেশ করা জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী।
পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী ডি কুমারের অভিযোগ ছিল, সিপিএমের জয়ী প্রার্থী আদতে প্রার্থী খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত নন। কিন্তু ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ওই সিপিএম প্রার্থী।
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে গির্জায় সিপিএম প্রার্থীর বিয়ে ও অন্যান্য বেশ কিছু প্রমাণ আদালতে দাখিল করেন ওই কংগ্রেস নেতা। তাঁর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার কেরল হাইকোর্ট ওই আসনে সিপিএম প্রার্থীর নির্বাচন রদের নির্দেশ দিয়েছে।
পেশায় একজন উকিল এ রাজা ২০০৯ সাল থেকে মুন্সিফ কোর্ট, দেবীকুলামে অনুশীলন করছেন। তিনি কোয়েম্বাটুরের সরকারি আইন কলেজ থেকে এলএলবি শেষ করেন। রাজা কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে, ২০২১-এ ইউডিএফ-এর ডি. কুমারকে ৭,৮৪৮ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এরই পরই আর এক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি বিধানসভার সদস্য হিসাবে শপথ নিতেই ভুল করেছিলেন এবং তাকে ২,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয় সেই সময়।