বাংলাহান্ট ডেস্ক : খলিস্তানি নেতা খুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) দিকে আঙুল তুলে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে কানাডা সরকার। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজে সরব হয়েছিলেন নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে। এদিকে এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে যেমন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, তেমনি প্রবল চাপের মুখেও পড়েছে ট্রুডো সরকার। সেই চাপেই কি মিলল ফলাফল? নিজ্জর খুনে মোদী (Narendra Modi) এবং ভারতের কোনো সম্পর্কের অভিযোগ খারিজ করল কানাডা প্রশাসন।
কানাডা সরকারের তরফে আঙুল ওঠে মোদীর (Narendra Modi) দিকে
গত বছরের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সুরেতে গুরুদ্বারার সামনে খুন হন খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই নেতার হত্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উপরে আঙুল তোলা হয়েছিল ওই সংবাদ মাধ্যমের তরফে। এবার বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হল প্রিভি কাউন্সিলের তরফে।
কী বলা হল বিবৃতিতে: বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে বেশ কিছু অপরাধমূলক কার্যকলাপের জেরে গত ১৪ ই অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফে ভারতীয় দূতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। তবে দেশের তৎকালীন আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল কানাডা সরকার। তবে সেই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জড়িত থাকার কোনো উল্লেখ বা প্রমাণই পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন : দফায় দফায় সংঘর্ষ মণিপুরে, পরিস্থিতি সামলাতে আরও ১০ হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্য: বিবৃতিতে এও বলা হয়, কানাডার কোনো অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই এই সংক্রান্ত প্রকাশিত সমস্ত তথ্য ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। উল্লেখ্য, কানাডার এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে হত্যার ছক করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর বিষয়টি জানা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এমনকি কানাডা সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিককেও উদ্ধৃত করা হয় সেই রিপোর্টে।
আরো পড়ুন : শুভশ্রীকে ছেড়ে রুক্মিনীর সঙ্গে প্রেম! কী এমন দেখেছিলেন? রচনার প্রশ্নে যা জবাব দেন দেব…
এরপরেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে ওই মিডিয়া রিপোর্টকে সম্পূর্ণ খারিজ করে বলা হয়, কানাডা সরকারকে উদ্ধৃত করে যখন একটি সংবাদ পত্রে এমন হাস্যকর বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তখন তা ভিত্তিহীন বলে খারিজ করা উচিত।