বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কানাডার সরকার (Canada Government) ভারতে (India) শিখদের জন্য খালিস্তানের দাবি করা আমেরিকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘পাঞ্জাব ২০২০ জনমত সংগ্রহ” (Punjab 2020 Referendum) কে খারিজ করে দিয়েছে। এটিকে শিখ নেতা আর বিশেষজ্ঞরা মোদী সরকারের (Modi Sarkar) একটি বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখেছে। এই বছর নভেম্বরে নির্ধারিত তথাকথিত জনমত সংগ্রহ নিয়ে কানাডার বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ANI কে ইমেল মারফত জানান, ভারতের সার্বভৌম ক্ষমতা, একতা আর আঞ্চলিক অখণ্ডতার সন্মান করে কানাডা। আমরা এই জনমত সংগ্রহকে কোনভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারব না।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিয়ে পাঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজিপি (DGP) শশি কান্ত বলেন, ‘আমি এটাকে কোনভাবেই জনমত সংগ্রহ (Referendum) বলতে চাই না। কারণ জনমত সংগ্রহ কোন দেশের ভৌগলিক সীমার মধ্যে হতে পারে। আমরা আমাদের দেশে বসে আমেরিকা (USA), ব্রিটেন (United Kingdom) অথবা অন্য কোন দেশের জনমত সংগ্রহ অভিযান চালাতে পারিনা। এটা ঠিক না।”
ডিজিপি বলেন, ‘কানাডা সরকারও জানিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা আমেরিকা আধারিত সংগঠনের তরফ থেকে করানো রেফারেন্ডাম ২০২০ কে স্বীকৃতি দেবে না। এটা ভারত সরকারের বিদেশ নীতির জন্য একটি বড় সুখবর। আর এই খবর এটাই প্রমাণ করে যে, ভারতের বিদেশ নীতি ব্যর্থ না। অন্য দেশ গুলো ভারতের সার্বভৌম ক্ষমতা, একতা আর আঞ্চলিক অখণ্ডতার সন্মান করে ।”
ডিজিপির পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগে ২০১২ সালে নিজের জীবনের অনেক পদে কাজ করা পাঞ্জাব ক্যডারের আইপিএস অফিসার শশি কান্ত বলেন, ‘যতদিন নে এরকম গতিবিধি কানাডার সার্বভৌম ক্ষমতা, একতা আর আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য বিপদ না হয়ে দাঁড়ায়, ততদিন কানাডা সরকার জাতীয় আর ধার্মিক সংগঠনের মামলায় হস্তক্ষেপ করত না। তবে সেটার বিপরীতে কানাডা সরকারের নতুন বয়ান অনেক সঙ্গতিপরায়ণ এবং ভালো বিদেশ নীতির ফল। এই বিদেশ নীতি, কানাডা সরকারের আপন করে নেওয়া রাষ্ট্রীয় নীতির অনুসারে।”