বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে দেখা গেল আশার আলো। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সোমা দাস এসএসসির থেকে পেলেন চাকরির সুপারিশপত্র। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতেই বীরভূম নলহাটির স্কুলে সোমাকে নিয়োগের সুপারিশপত্র পাঠানো হয় এসএসসির তরফে৷ আজ সকালে বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে নলহাটি মধুরা হাইস্কুলে যোগ দেন তিনি। দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর মেয়ে চাকরি পাওয়ায় খুশি বাবা মা।
সোমা বলেন, “আজ চার বছর পর আমি চাকরিতে যোগ দিলাম। খুব ভাল লাগছে। কিন্তু আমার যে সঙ্গীরা আছেন, তাঁরাও যদি আজ কাজে যোগ দিতে পারতেন তাহলে এই আনন্দটা আজ পরিপূর্ণ হত। আনন্দ হচ্ছে, কিন্তু সেটা পরিপূর্ণ নই।” তিনি আরও জানান, “আমি ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার সঙ্গীদের হয়ে প্রচার করব। এছাড়া যখনই সময় পাব ধর্মতলায় গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেব।”
জানা গিয়েছে, আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, যিনি এই পুরো লড়াইয়ে সোমাদেবীর পাশে ছিলেন এবং কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই সোমাদেবীর আইনি লড়াইটি করেছেন, তিনিই এই খবর পেয়ে আনন্দিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসএসসির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় নাম ছিল সোমার ৷ তার পরও তিনি চাকরি পাননি ৷ পরে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি বিরুদ্ধে আন্দোলনেও সামিল হন তিনি ৷ কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তাঁর চাকরির বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করে দেখতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই মতো পরবর্তী বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে অবশেষে চাকরি পেলেন সোমা ৷
দীর্ঘদিন ধরে নিজের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত সোমা দাস । গত 18 এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে প্রথমবার আশার আলো দেখেন আন্দোলনকারীরা ৷ সেখানে সোমা দাসের পাশাপাশি বাকি বঞ্চিতদের চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।