বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের নিয়োগ মামলায় জুড়ছে একের পর এক দুর্নীতির অধ্যায়। পূর্বেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। সেইমত আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। এবার হাইকোর্টে (High Court) সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন কয়েক জন মহকুমাশাসক (Sub Divisional Officer)। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই সেইসব শংসাপত্র বাতিলের আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।
ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি! ঠিক এমনই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হেমাবতী মাণ্ডি-সহ ৩ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক প্রার্থীকে বেদিয়া উপজাতি দেখিয়ে তফসিলি জনজাতির শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বীরভূম সদরের মহকুমাশাসক আদালতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে (Justice Biswajit Basu) জানান, বেদিয়া উপজাতির ওই প্রার্থী তফসিলি জনজাতির মধ্যেই পড়েন। কিন্তু মুসলমানরা যে তফসিলি জনজাতিভুক্ত হন না সে কথা স্মরণ করিয়ে তদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু।
সেইমত ৫৫ জনের একটি তালিকা বাছাই করে আদালতের সামনে তুলে ধরেন মামলাকারীরা। এরমধ্যে ৩৩ জনের রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। এরই মধ্যে এদিন আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক জানান, মণ্ডল পদবি তফসিলি জনজাতিভুক্ত নয়। তিঁনি বলেন, জাতি শংসাপত্রটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেটি বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি ভূল স্বীকার করে নেন মালদহের মহকুমাশাসকও। শুধু তাই নয়, অনেক মহকুমাশাসক আবার আবেদনকারীরাই ভুল তথ্য দিয়ে শংসাপত্র নিয়েছেন বলেও আদালতে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্মশিক্ষা বিষয়ে মোট ১৯৭৭ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জনের নাম ভুয়ো শংসাপত্রের তালিকায় উঠে এসেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মহকুমাশাসকদের রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাতে হবে। এরপরই আদালতে নিজেদের ভূল স্বীকার করে নেন কয়েকজন মহকুমাশাসক। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা