ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা রাস্তা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। পরপর পড়ে তিনটি দেহ, পাশে বোমার খোল। এদিন সকাল হতেই পরপর তিনটি খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ক্যানিং (Canning) এলাকায়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 pargana) ক্যানিং জেলার গোপালপুর গ্রামে সাত সকালেই পঞ্চায়েত সদস্য সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীদের দল। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আর বর্তমানে পুলিশের অনুমান, পুরানো শত্রুতার জন্যই এই খুনগুলি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনো কারণ মেলেনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি এবং দুই তৃণমূল কর্মী ভূতনাথ প্রামানিক ও ঝন্টু মাঝিকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীদের দল। এক্ষেত্রে আপাতত মূল অভিযুক্ত হিসেবে যে ব্যক্তিকে সন্দেহের চোখে দেখে চলেছে পুলিশ, সে কয়েক বছর পূর্বেও একটি মামলাতে জেল হেফাজতে ছিল বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রেই উঠে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। বর্তমানে এই দুটি মামলা এক সূত্রে গেঁথে চলেছে পুলিশ।

কয়েক বছর পূর্বের একটি মামলায় বাদল নামে এক ব্যক্তির নাম ক্রমশ উঠে আসছে, যার দ্বারাই বর্তমানে খুনের ঘটনায় সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, পরবর্তীতে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাদলের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি। এলাকাবাসীদের দাবি, সেই সময় বাদলকে বাঁচাতে দেখা যায় স্বপন মাঝিকে আর তার জেরেই স্বপনবাবু ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ক্রোধের মুখে এসে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

Canning murder

ক্যানিংয়ের ঘটনায় আপাতত যে খবর সামনে উঠে এসেছে তা হলো, এদিন একুশে জুলাই প্রস্তুতি সভায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাইকে করে রওনা দেয় স্বপন মাঝি সহ দুই তৃণমূল কর্মী। এই সময় দুষ্কৃতীদের দল বাইকে করে আসে এবং তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তাদের। বর্তমানে গোটা এলাকা পরিদর্শন করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এক্ষেত্রে ওই অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বর্তমানে পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, এই ঘটনায় রাজনৈতিক কোন কারণ নেই, বরং শত্রুতার জেরে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান তাদের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর