পাঁচিল তুলতে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা! না দেওয়ায় শিক্ষকের বাড়িতে রাতভর বোমাবাজি TMC নেতার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাড়িতে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। আর সেই টাকা না দেওয়াতে কার্যত রাতভর লাগাতার বোমাবাজির অভিযোগ উঠল ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও তোলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে যে, পূর্ব বর্ধমানের রায়না গ্রামের পূর্ব পাড়ায় বসবাস করেন মাঝিলা পরিবার। তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন যে, বাড়িতে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানস ভট্টাচার্য। সেই টাকা দিতে না পারায় তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই রবিবার গভীর রাতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান থানায় ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের পক্ষ থেকে টুটুল মাঝিলা। এছাড়াও যে কোনো মুহূর্তে প্রাণনাশের আশঙ্কার পাশাপাশি তাঁদের পরিবারকে গ্রামে একঘরে করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুটুল।

প্রসঙ্গত উল্লখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে টুটুল মাঝিলাকে ফোনে হুমকি দেন মানস ভট্টাচার্য। এমনকি মোবাইলের সেই অডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের কাছেও। কিন্তু অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

এমতাবস্থায়, জঙ্গিপুর গভর্মেন্ট পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষক টুটুল মাঝিলার পরিবারের দিকেই অভিযোগের তীর ছোঁড়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মানস ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ইচ্ছে করেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান, টুটুল মাঝিলাদের পারিবারিক সম্পত্তিগত বিবাদ থাকার কারণে প্রথমে ক্লাব ও পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এমনকি আগামী ২৪ তারিখ পঞ্চায়েত থেকে জমি মাপার দিনও ঠিক করে দেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা বানচাল করতেই টুটুল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে পুরো ঘটনায় ভীত হয়ে পড়েছে মাঝিলা পরিবার। কার্যত আতঙ্কেই দিন কাটছে তাঁদের।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর