বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত রবিবার বিহারের পাটনায় একটি বড় বিমান দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। জানা গিয়েছে যে, বিমানটির টেক-অফের সময় বিমানের ইঞ্জিনের সাথে একটি পাখির ধাক্কা লেগে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। এমতাবস্থায়, কিছুক্ষণ ওড়ার পর একটি ইঞ্জিন দিয়েই জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির। মূলত, স্পাইসজেটের ওই বিমানটি ওড়াচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না। তাঁর তৎপরতাতেই এড়ানো গিয়েছে বড় বিপদ।
এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না সারা দেশে প্রশংসিত হচ্ছেন। পাশাপাশি, তিনি যেভাবে বিপদ বুঝে সিঙ্গেল ইঞ্জিনের সহায়তায় বিমানটির জরুরী অবতরণ ঘটান সেই কাজের জন্য তাঁকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন সকলেই। জানা গিয়েছে যে, ওই বিমানটিতে মোট ১৮৫ জন যাত্রী সহ মোট ১৯১ জন ছিলেন।
মূলত, ফ্লাইট এসজি 723-এর পাইলট-ইন-কমান্ড (পিআইসি), ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না ইঞ্জিনটিতে আগুন লেগে যাওয়ার সাথে সাথেই সেটি বন্ধ করে দেন। এদিকে, স্পাইসজেটও মনিকার এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। কারণ, পাটনা এয়ারফিল্ডের আশেপাশে উড়তে থাকা অবস্থায় জরুরি অবতরণ এতটাও সহজ ছিলনা।
পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই একটি বিবৃতি জারি করে স্পাইসজেট জানিয়েছে যে, ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না এবং তাঁর সাথে থাকা ফার্স্ট অফিসার বলপ্রীত সিং ভাটিয়া ওই ঘটনার সময় দক্ষতার সাথে কাজ করেছিলেন। তাঁরা সারাক্ষণ ঠান্ডা মাথায় থেকে বিমানটিকে ভালো ভাবে পরিচালনা করেছিলেন। তাঁরা অভিজ্ঞ আধিকারিক এবং আমরা তাঁদের জন্য গর্বিত।
ঠিক কি ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, গত রবিবার পাটনা থেকে দিল্লি যাওয়ার সময়ে স্পাইসজেটের বিমান SG-723-এর ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। সেই কারণে বিমান থেকে বিকট শব্দও আসছিল। তারপরেই স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে জেলা কন্ট্রোল রুমে খবর দেন। পাশাপাশি, এটিসি টাওয়ারে থাকা টেকনিশিয়ানরাও বিমানের আগুন লক্ষ্য করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পাইলটকে তা জানিয়ে বিমানটিকে পাটনা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বলেন।
এরপর পাইলট সচেতনভাবে দ্বিতীয় ইঞ্জিনের সাহায্যে বিমানটিকে পাটনা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেন। বিমানটিতে ১৮৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দু’টি শিশু ছিল। এছাড়াও, একজন পাইলট ও সহকারী পাইলটের পাশাপাশি আরও চারজন ক্রু ছিলেন। এদিকে, এই দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রী আহত হননি। পাশাপাশি, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের অন্য একটি বিমানে দিল্লি পাঠানো হয়।