বাংলাহান্ট ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর কে ভারত নিজেদের কেন্দ্রীভূত করলে একটু অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সেখানে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। তবুও দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত শান্তির খবর আসছিল। ভারত সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছিল জম্মু-কাশ্মীর কি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে। খুলে গিয়েছিল বেস অনেকগুলি স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত।
এরইমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা উসকে দিল বেশকিছু কাশ্মীর বাসীকে। জাতিসংঘে গিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন,’ আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে ভাবতে হবে তারা ১৩০ কোটির বাজারকে তোষণ করবেন, না নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকের পাশে থাকবেন। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যদি যুদ্ধ করে কার প্রভাব কিন্তু গোটা বিশ্বে পড়বে।’
তিনি আরো বলেন,বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর থেকে কারফিউ না তুললে রক্তবন্যা বইবে।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এর আগে এয়ার স্ট্রাইক এর কথা স্বীকার না করলেও জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ভারতের হামলায় দশটা গাছ ছাড়া কোনো কিছুরই ক্ষতি হয়নি। ভারতের এক পাইলট ধরা পড়লেও আমরা তাকে মুক্তি দিয়েছি। কিন্তু মোদি সরকার ১৫০ জন জঙ্গী মারা গেছে বলে ভোটের সময় ভারতে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কিছুটা ধমকের সুরেই জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলিকে ভাবতে হবে তারা মানুষের পাশে থাকবেন নাকি ১৩০ কোটির দেশ এর পাশে থাকবেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই বক্তব্য এরপর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ইমরান খানের সর্মথকরা একাধিক জায়গায় মিছিল করতে শুরু করেন। মিছিলে তারা কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবি করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত সরকারের পরে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেন।
ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকে ভারতের সাথে সব রকম সম্পর্ক শেষ করেছিল পাকিস্তান।এমনকি পাকিস্তান ভারতের সাথে কুটনৈতিক ও বাণিজ্যিক যুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কথায় কথায় ভারতকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ইমন খানের সাথে পাল্লা দিয়েছে তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা তার সাথে যোগ দিয়েছে এবং পাকিস্তান বাসী।