বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বর্তমানে তিহাড় জেলে (Tihar Jail) ঠাঁই হয়েছে কেষ্টর। অন্যদিকে সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal)। তিনিও রয়েছেন সেই তিহাড়েই। একই জায়গার থাকলেও দুজনার মধ্যে দূরত্ব অনেক। তবে সমস্ত বাধা পেরিয়ে এদিন ফের দেখা হল বাবা মেয়ের।
কী জানা যাচ্ছে? শনিবার কেষ্ট-সুকন্যাকে দ্বিতীয়বারের জন্য দেখা করার অনুমতি দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, মেয়েকে দেখেই হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন দাপুটে নেতা কেষ্ট মণ্ডল। আধ ঘণ্টা মতো কথা হয় দুজনার। মেয়েকে তিহাড়ে দেখেই আবগপ্রবণ হয়ে পড়েন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা।
সূত্রের খবর, এদিন মেয়েকে দেখেই অনুব্রত। বলেন, “তোর দিল্লি আশা উচিত হয়নি।” বাবাকে সুকন্যা বলেন, “বারবার নোটিশ পাঠাচ্ছিল আমায়। কী করব? বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে।” নিজের কান্না কোনও রকমে আটকে মেয়েকে আশ্বাস দিয়ে কেষ্ট বলেন, “সব ঠিক হয়ে যাবে। চিন্তা করিস না।”
বাবাকে এতদিন পর কাছে পেয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুকন্যা বলেন, “অ্যারেস্ট হওয়ার আগেও আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কাস্টডিতেও কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমায় অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
প্রসঙ্গত, এর আগে মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অনুব্রত। ইডির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আদালতে কেষ্ট বলেছিলেন, ‘বাহাদুরির’ কাজ করা হয়নি। পাশাপাশি অফিসারদের প্রশ্ন ছুঁড়ে অনুব্রত বলেন, ‘মেয়েকে অ্যারেস্ট করে নিলেন? বিবেক বলে তো কিছু আছে নাকি?’