বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) শাসনকালে সবচেয়ে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যদি কেউ থেকে থাকেন, তিনি হলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিরোধীদের একের পর এক কটাক্ষ থেকে শুরু করে ‘চড়াম চড়াম ঢাক’ কিংবা ‘খেলা হবে’-এর মত সংলাপের মাধ্যমে সর্বদাই খবরের শিরোনামে থাকেন বীরভূমের ‘কেষ্ট’। দীর্ঘ দশমবার হাজিরা এড়ানোর পর গতকালই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। এর মাঝেই বর্তমানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে উঠে এলো তৃণমূল নেতার ‘কালী ভক্তির’ প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা সংগঠন সামলানোর পাশাপাশি বেশ দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে এলাকায় মা কালী এবং ‘শিব’ ভক্ত হিসেবেও যথেষ্ট নাম রয়েছে তাঁর। শিব এবং কালী পুজোর ক্ষেত্রে অনুব্রতর অগাধ শ্রদ্ধার কথা সর্বজনবিদিত। একদিকে যখন তৃণমূল কার্যালয়ে তাঁকে প্রতিবছরই ঘটা করে কালীপূজো আয়োজন করতে দেখা যায়, আবার শিবরাত্রির পুজোতেও বিশেষ চমকের সাক্ষী থাকে গোটা বীরভূম জেলা। আর বর্তমানে কেষ্টর সেই ভক্তিই সিবিআইয়ের নজরে উঠে এসেছে!
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের দ্বারা আয়োজিত কালীপুজোর ক্ষেত্রে যেদিকে মানুষের সর্বপ্রথম নজর যায়, তা হল মা কালীর গায়ের ‘অলংকার’। প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক অলংকারে মাকে ঢেকে দেন তৃণমূল নেতা। নিজের হাতে মাকে অলংকার দিয়ে পরিসজ্জিত করার পাশাপাশি সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে নজর থাকে তাঁর। এক্ষেত্রে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে মা ও স্ত্রী মারা যাওয়ায় নিজের হাতে সাজাতে পারেননি মাকে। তবে তা সত্ত্বেও ২০২০-এ কালী প্রতিমাকে ৩৬০ থেকে ৩৭০ ভরি অলংকারে ভরিয়ে দেন অনুব্রত। এর ঠিক পরের বছরে সেই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় দ্বিগুনে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মা কালীর অলংকারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৬০ থেকে ৫৭০ ভরি, যার মূল্য বর্তমানে তিন কোটি টাকারও বেশি। তবে বর্তমানে এ সকল বিষয়গুলিই উঠে এসেছে সিবিআই-এর নজরে। অনুব্রত মণ্ডলের এত টাকা খরচের উৎস কি ছিলো, তা জানতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এখন দেখার, আগামী দিনে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নতুন কোন তথ্য সামনে উঠে আসে।